ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা সম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটে উৎপাদন শুরু হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে উৎপাদনে ফেরে তৃতীয় ইউনিট।
এর আগে গত ৩১ জুলাই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৩য় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ২৭৫ মেগাওয়াট। এ ইউনিটে ১৯০ থেকে ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এটি চালু রাখতে প্রতিদিন দুই হাজার ৩০০ মেট্রিক টন কয়লা লাগে বলে জানিয়েছেন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর।
শুক্রবার রাত ৯টার পর থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লাভিত্তিক ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিট সংস্কার কাজের জন্য এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে। ১ নম্বর ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার হলেও উৎপাদন হতো ৬০-৬৫ মেগাওয়াট। একসঙ্গে কেন্দ্রের দুটি ইউনিট বন্ধ থাকায় পার্বতীপুর উপজেলাসহ উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্নিত হয়।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্র জানা যায়, কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩য় ইউনিট স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক দুই হাজার ৩০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হবে। কিন্তু বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কোল ইয়ার্ডে কয়লা মজুত রয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে দৈনিক কয়লা সরবরাহ করা হয় প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন। ৫২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ২ নম্বর ইউনিটটি সংস্কার কাজ চলায় ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে আছে। ২ নম্বর ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার হলেও উৎপাদন হতো ৬৫-৭০ মেগাওয়াট। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক প্রায় ৫ হাজার ২০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন। তবে, তিনটি ইউনিট একইসঙ্গে কখনই চালানো হয়নি। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সরবরাহকৃত কয়লার ওপর নির্ভর করে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, শুক্রবার বিকেল ৫টা ১৫ মিনিট থেকে তৃতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিড সরবরাহ করা হচ্ছে। শুক্রবার রাত ৯টার পর কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিট সংস্কার কাজের জন্য এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে। ৩য় ইউনিট চালু হওয়ায় এ অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা অনেকটা কমবে আশা করা হচ্ছে।