ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশে কৃষি কাজে সৌরশক্তির ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিজেল চালিত সেচ পাম্পগুলো সৌর সেচ পাম্প দিয়ে প্রতিস্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০৩১ সালের মধ্যে ৪৫০০০টি সৌর সেচ পাম্প ইনস্টল করতে ১.৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন।
সোমবার দুবাইতে বিদ্যুৎ বিভাগ আয়োজিত ‘Scaling Up Solar Irrigation in Bangladesh’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নবায়ণযোগ্য জ্বালানি পোর্টফলিওকে, সৌর মিনি-গ্রিড, ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ, সৌর পানিয় জলের ব্যবস্থা, সোলার রূপটপ ইনস্টলেশন, সোলার এগ্রো পিভি, সৌর সেচ, বায়ু বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ প্রভৃতি বৈচিত্রময় করেছে। ৬ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম রয়েছে। বর্তমানে নবায়ণযোগ্য জ্বালানি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে।
তিনি বলেন, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ একটি ১০০ বছরের কৌশল-যা জলবায়ু পরিবর্তনকে একটি কেন্দ্রীয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করে বদ্বীপ ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্ব দিয়ে টেকসই উন্নয়নের প্রতি দৃষ্টি নিবন্ধ করেছে। প্রতিবেশি দেশসমূহ হতে নবায়ণযোগ্য জ্বালানি আমদানির বিষয়টিও সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা-২০২৩ তে বলা হয়েছে। বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশের জন্য নবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রসারে উন্নত দেশসমূহের প্রতিশ্রুত বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থ দ্রুত ছাড় করা প্রয়োজন। তাছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাষ্ট ফান্ড হতে ৮০০ প্রকল্পে ৪৪৯.৩ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ সিদ্দিক জোবায়েরের সঞ্চালনায় ও যুগ্ম সচিব নিরোদ চন্দ্র মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, এডিবির কান্ট্রি ডিরেকটর ইডিমন গিনটিং ও ইডকলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর মোর্শেদ বক্তব্য রাখেন।
-এসএম