‘জ্বালানি নিরাপত্তার অন্যতম শর্ত সাশ্রয়ী মূল্যে নিরাপদ জ্বালানি নিশ্চিত করা’

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘একটি দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার অন্যতম শর্ত হলো ভোক্তাকে সাশ্রয়ী মূল্যে নিরাপদ জ্বালানি নিশ্চিত করা। কিন্তু এটা নিশ্চিত না হলে কি হয়- সেটা বিগত সরকারের শাসনামলে দেশের জ্বালানি খাতের অস্থিরতাই প্রমাণিত। তেল-গ্যাসসহ জ্বালানি খাতের ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের আমানতকে লুণ্ঠন করে মুনাফা করেছে।’

রোববার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি কনফারেন্স হলে আয়োজিত ‘জ্বালানি খাত সংস্কার চাই: ক্যাব’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘আইন অনুযায়ী দেশের সকল জ্বালানির মূল্য বিইআরসি নির্ধারণ করবে। কিন্তু আমরা দেখছি, পেট্রোলিয়ামের মূল্য নির্বাহী আদেশে নির্ধারণ করা হচ্ছে। এখানে দাম কমানো হোক বা বাড়ানো হোক, দুটোই আইন বিরোধী। আমরা চাই- সকল জ্বালানির মূল্য বিইআরসি আইন অনুযায়ী (গণশুনানির মাধ্যমে) নির্ধারণ করবে এবং ভোক্তা প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে ক্যাব অংশ নেবে।

তিনি বলেন, ‘জ্বালানি সচিব যদি নিজেই কোম্পানির দায়িত্বে থাকে, তাহলে ভোক্তার জ্বালানির অধিকার নিশ্চিত হওয়া কঠিন। ওমেরা কোম্পানির (ওমেরা এলপি গ্যাস) চেয়ারম্যান নিজেই জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা, তাহলে কিভাবে (তার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে) ভোক্তার অধিকার রক্ষা হবে?’

সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের বক্তব্য উল্লেখ করে এই আইন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘ভর্তুকি না দেয়ার বিষয়ে বিগত সরকারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সব সময়ই সেসব দেশের উদাহরণ দিয়ে বিভ্রান্তি করেছে, যে দেশগুলো অর্থনৈতিক ভাবে বাংলাদেশের থেকে অনেক উন্নত। কিন্তু বাংলাদেশের মতো (অনুন্নত) অধিকাংশ দেশেই জ্বালানিসহ অনেক খাতেই ভর্তুকি দেয়া হয়। তাই বাংলাদেশেও শিক্ষা-জ্বালানির মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে ভর্তুকি দেয়া প্রয়োজন।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবির ভূঁইয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মিজানুর রহমানসহ আরও অনেকে।

-এসএম