ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জ্বালানি তেল বিক্রয়ের ওপর কমিশন বৃদ্ধি কার্যকর না হওয়ায় খুলনায় আবারও ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ করে কর্মবিরতি পালন করছেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।
রোববার সকাল থেকে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও ফরিদপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ ট্যাংক লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা মেঘনা ও যমুনা ট্যাংক লরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতি এ কর্মবিরতি পালন করছে।
বাংলাদেশ ট্যাংক লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শেখ ফরহাদ হোসেন বলেন, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী গত ২৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) থেকে ৪০ শতাংশ কমিশন বৃদ্ধি করে তাদেরকে চিঠি দেওয়া হয়। সে হিসাবে প্রতিটি গাড়িতে গড়ে সাড়ে ৪ হাজার টাকা থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত কমিশন বাবদ কম নেওয়ার কথা। কিন্তু তিন ডিপোতে তেল উত্তোলনের ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বৃদ্ধি করা ৪০ শতাংশ কমিশন হিসাব করে টাকা জমা দিলেও বিপিসি থেকে কমিশন কার্যকরের কোনো চিঠি তারা পাননি বলে ডিপো কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে। এর ফলে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা বিপিসি থেকে কমিশন কার্যকরের চিঠি না পাওয়া পর্যন্ত তেল উত্তোলন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে তিন দফা দাবিতে গত মাসের শুরুতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করে তেল ব্যবসায়ীরা। ফলে দাবি মেনে নিলে ০৩ সেপ্টেম্বর ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।
জানা যায়, খুলনার তিনটি ডিপো থেকে প্রতিদিন প্রায় ২৮ লাখ লিটার ডিজেল, আট লাখ লিটার অকটেন ও নয় লাখ লিটার পেট্রোল উত্তোলন ও বিক্রি করা হয়।
পূর্বে তেল উত্তোলন বাবদ কমিশন ছিল ১ টাকা ৮০ পয়সা। গত ০৩ সেপ্টেম্বর কমিশন বৃদ্ধির দাবিতেই তেল উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছিলেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। এরপর সরকারের আশ্বাসে শেষ পর্যন্ত ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন তারা।
পরবর্তীতে ২৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় কমিশন বাড়িয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেই অনুযায়ী প্রতি ১০০ টাকার অকটেন বিক্রিতে পাম্প মালিকরা চার টাকা ২৮ পয়সা, পেট্রোল বিক্রিতে ৪ টাকা ৩৪ পয়সা, কেরোসিনে ২ টাকা, এবং ডিজেলে ২ টাকা ৮৫ পয়সা কমিশন পাবে।
এর আগে ডিজেলের ২ শতাংশ, পেট্রোলের ৩ শতাংশ এবং অকটেনের ৪ শতাংশ কমিশন ছিল।