ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের অবদান অপরিসীম। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা এখনও কার্যকরী অবদান রাখছে।’
বুধবার ‘জ্বালানি নিরাপত্তায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান’ শীর্ষক স্মৃতিফলক তিতাস, হবিগঞ্জ ও বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডে স্থাপন ভার্চুয়ালি উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় রশিদপুর ও কৈলাশটিলায় এ স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর এই সাহসী পদক্ষেপে দেশীয় গ্যাসের উপর জনগণের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। এই স্মৃতিফলক আগামী প্রজন্মকে দেশের জন্য কাজ করতে উৎসাহিত করবে।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ০৯ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু তৎকালীন ব্রিটিশ তেল কোম্পানি শেল অয়েলের নিকট থেকে (তিতাস, হবিগঞ্জ, রশিদপুর, কৈলাশটিলা ও বাখরাবাদ) পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র নামমাত্র ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ড স্টালিং (বাংলাদেশি টাকায় ১৭ দশমিক ৮৬ কোটি টাকা) মূল্যে ক্রয় করে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় আনেন। যা বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এখনও কার্যকরী অবদান রাখছে।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘জুন ২০২৩ পর্যন্ত ওই পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র হতে ১০ দশমিক ২৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে যার আর্থিক মূল্য বর্তমান বিক্রয় মূল্য ছয় লক্ষ ২১ হাজার কোটি টাকা। জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত ওই পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র ৫ দশমিক ২৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে যার আর্থিক মূল্য তিন লক্ষ ১৭ হাজার কোটি টাকা। ফিনান্সিয়াল ভ্যালুর চেয়ে ইকোনমিক ভ্যালু আরও বেশি। এই গ্যাসের জন্যই শিল্প-কারখানা ও কর্মসংস্থান সম্প্রসারিত হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিজিএফসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সুলতান ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, এনার্জি এন্ড পাওয়ারের সম্পাদক মোল্লা আমজাদ প্রমুখ।
-এসএম