ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক : চাঁদপুর শহর ও আশপাশের এলাকায় আবাসিক লাইন সংযোগে গ্যাসের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। যার ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে গ্রাহকদের।
এ বিষয়ে কোনো ধরনের নোটিশ দেওয়া হয়নি কিংবা কোম্পানির পক্ষ থেকে মাইকিংও করা হয়নি।
এতে অনেকেই রান্না করতে পারেননি। ফলে হোটেল থেকেই খাবার এনে খেতে হচ্ছে।
অনেকে বলছেন, গ্যাস সিলিন্ডার শেষ হয়ে যাওয়ায় হোটেলেও খাবার মিলছে না।
বুধবার সকাল থেকে চুলাতে গ্যাস ধীরে ধীরে কমতে থাকে। সকাল ৯টার পরে আরও সংকট দেখা দেয়। এরপর থেকে চুলা আর জ্বলছে না।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার পর বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড চাঁদপুর কার্যালয়ে খবর নিয়ে জানা গেছে লাইনে সমস্যা এবং মেরামত কাজ চলছে। গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড চাঁদপুর কার্যালয়ের ম্যানেজার মোবারক হোসেন।
শহরের চেয়ারম্যানঘাটের উকিল ভিলার বাসিন্দা ইসরাত জাহান ইভা বলেন, সকালে হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে জানলাম গ্যাস থাকবে না। পরে চুলা জ্বালিয়ে দেখি গ্যাসের সরবরাহ কম। ২ ঘণ্টা শেষ হতো সেই রান্না বিকাল গড়িয়ে গেল। একদিকে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া অন্যদিকে গ্যাস নেই। চরম দুরবস্থায় আছি।
শহরের নিউ ট্রাক রোড এলাকার বাসিন্দা গৃহিণী রাবেয়া আক্তার বলেন, আগে পরে গ্যাস বন্ধ করার আগে মাইকিং হয়েছে। এবার তাও জানতে পারিনি। যে কারণে চরম বিপাকে পড়েছি। সন্তানদের বিদ্যালয়ে যেতে হয়েছে হালকা নাস্তা খেয়ে। এরপর দুপুরের খাবার নিয়ে বিপাকে পড়ি।
স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাদরাসা রোডের বাসিন্দা শরীফুল ইসলাম বলেন, বাসার চুলা বন্ধ। যে কারণে হোটেল থেকে কিনতে হয়েছে। কখন গ্যাস আসবে সে খবরও পাওয়া যায়নি।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কুমিল্লা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (হিসাব বিভাগ) সৈকত হোসেন জানান, কোম্পানির চট্টগ্রাম আনোয়ার ও ফৌজদার হাট প্রজেক্টের পাইপ লাইনে ফাটল দেখা দিয়েছে। মেরামত কাজ চলছে। প্রাকৃতিক কোনো সমস্যা দেখা না দিলে বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
এদিকে বিকেল গড়িয়ে গেলেও গ্যাসের দেখা মেলেনি।