ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: সুইজারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর থেকে দুই কার্গো বা ৬৭ লাখ ২০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ২৪২ কোটি ৮০ লাখ ৯৫ হাজার ৬৮০ টাকা।
বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত সাংবাদিক কাছে তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাঈদ মাহমুদ খান।
তিনি বলেন, আজ ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ছয়টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। ক্রয় এর প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের দুটি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবনা ছিল।
সাঈদ মাহমুদ খান বলেন, এর মধ্যে ক্রয় কমিটি পাঁচটি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি বাতিল করা হয়েছে। অনুমোদিত পাঁচটি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ এক হাজার ৬৮২ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার ৬৮০ টাকা।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০২১ এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো (৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ) এলএনজি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের মেসার্স টোটাল এনার্জি গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে সর্বমোট ৫৯৫ কোটি ৪৫ লাখ ৮৮ হাজার ৬৪০ টাকায় এই এক কার্গো এলএনজি কেনা হবে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১৩ দশমিক ৭৭ ডলার।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০২১ এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো (৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ) এলএনজি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেডের কাছ থেকে সর্বমোট ৬৪৭ কোটি ৩৫ লাখ ৭ হাজার ৪০ টাকায় এই এলএনজি কেনা হবে। প্রতি এমএমবিটিইউ এর দাম ১৪ দশমিক ৯৭ ডলার।
এর আগে গত ৯ অগাস্ট সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সুইজারল্যান্ডের টোটাল ইঞ্জিনিয়ারিং গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৪৭৮ কোটি ৬৩ লাখ ৫৩ হাজার ৯৩৬ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।
একই দিন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক কক্সবাজারে মহেশখালীতে স্থাপিত এক্সিলারেট এনার্জি বাংলাদেশে লিমিটেডের কাছ থেকে ১৫ বছর মেয়াদে ১ থেকে ১ দশমিক ৫ এমটিপিএ এলএনজি ২০২৬ সাল থেকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় সরবরাহের প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক কক্সবাজারে মহেশখালীতে স্থাপিত সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে ১৫ বছর মেয়াদে ১ দশমিক ৫ এমটিপিএ এলএনজি ২০২৬ সাল থেকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় সরবরাহের প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।