ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: কক্সবাজারের মহেশখালীতে থাকা সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনালের মেরামত শেষ না হওয়ায় বন্ধ রয়েছে সেখান থেকে গ্যাস সরবরাহ। এটি সচল করতে আরও সাত থেকে আট দিন সময় লাগবে। এরপরই ওই এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। তবে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনাল দিয়ে এলএনজি সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ, তেল গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মাইনস) প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সমুদ্রের আবহাওয়া এখন ভালো না। তাই কাজ করা যাচ্ছে না। আরও সময় লাগবে। সমুদ্র উত্তাল থাকলে পানি ঘোলা হয়ে যায়। তখন পানির নিচে কাজ করা সম্ভব হয় না। পুরোপুরি ঠিক করতে সাত-আট দিন বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।
পেট্রোবাংলার তথ্য বলছে, সামিটের এলএনজি টার্মিনালটি বন্ধ থাকায় এখন এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনাল দিয়ে প্রতিদিন মাত্র ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আরও দুই হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রতিদিন পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু প্রতিদিন চাহিদা রয়েছে মোট ৩১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের। এতে প্রতিদিনই প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি থাকছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গত ২৬ জুলাই সামিটের এলএনজি টার্মিনালটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সিঙ্গাপুরে প্রয়োজনীয় মেরামত শেষে গত ১০ জুলাই এটি দেশে ফেরে। এরপর ১৭ জুলাই গ্যাস সরবরাহের কথা থাকলেও সেটি সম্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে গত ২৯ এবং ৩০ জুলাই এটি সচলের কথা জানিয়েছিলেন পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা৷ তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে মেরামত সম্ভব না হওয়ায় আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে।