ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ‘অনিবন্ধিত ক্লিনিক এবং যারা প্রতারণা করছে স্বাস্থ্য সেবার নামে সেগুলো কিন্তু প্রায় সবই বন্ধ করে দিয়েছি। বলেছি যে অনিবন্ধিত কোনও ক্লিনিক বাংলাদেশে থাকতে পারবে না।’
শনিবার সকালে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রম সংক্রান্ত জাতীয় কর্মশালায় সিভিল সার্জনদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) ইউএসএআইডির ‘মামনি’ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় (ইপিআই) এই কর্মশালা আয়োজন করে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সরকারি বলেন, আর বেসরকারি বলেন; একটি ন্যূনতম স্বাস্থ্য সেবা যদি না থাকে, সেই প্রতিষ্ঠান মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করবে- সেটা আমরা সহ্য করতে পারবো না।’
তিনি বলেন, ‘এটি একটি খুবই প্রিমেটিভ কাজ, তবে তার মানে এই নয় আমরা খুব ভালো কাজ করে ফেলেছি। যদি কেউ নিবন্ধন নম্বর তাদের প্রতিষ্ঠানে না টানিয়ে রাখেন তাহলে অনিবন্ধিত হিসেবেই ধরে নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আপনাদের খুব স্ট্রং মেসেজ দিতে চাই। আপনাদের জেলায় কোনও অনিবন্ধিত ক্লিনিক থাকতে পারবে না। এটি একটি পরিস্কার বার্তা। অনিবন্ধিত ক্লিনিকের অস্তিত্ব বাংলাদেশের মাটিতে থাকতে পারবে না। প্রতিপক্ষ যত শক্তিশালী হোক। দ্বিতীয়ত নিবন্ধিত ক্লিনিক মানেই মানুষের সেবা করছে, সেটাও বলার সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে আমি হাসপাতাল শাখার পরিচালককে বলেছি, স্বাস্থ্য সেবার ক্যাটাগরাইজেশন করার জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড সেটআপ তৈরি করতে।’
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, এমএনসিএইচ লাইন ডিরেক্টর ও পরিচালক ডা শামসুল হক প্রমুখ।