আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে করোনা দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায় ১৪ লাখে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও জাপান। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৬ কোটি ৯৬ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬০ লাখ ৯৭ হাজার।
রোববার (২৯ মার্চ) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ হাজার ৭৩০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে প্রায় ১৩০০। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬০ লাখ ৯৭ হাজার ৪৬৮ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ লাখ ১ হাজার ৪৪৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ কোটি ৯৬ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫৬ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৮১ হাজার ৩২৯ জন এবং মারা গেছেন ৩১৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯০ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১২ হাজার ১০১ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৯৫ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩২ হাজার ৯৫৮ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৭৫ লাখ ৫১ হাজার ৬৫৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৫৮ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৩৬২ জন এবং মারা গেছেন ৩২৭ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ১৪ লাখ ৪ হাজার ১৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৯ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪৫ জন মারা গেছেন।
এছাড়া জার্মানিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ১৮৭ জন এবং মারা গেছেন ১১৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ২৭ হাজার ৪০৮ জন মারা গেছেন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৯০ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪০ হাজার ৮৬৯ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৯৬ লাখ ১৭ হাজার ২৬৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৫৭ হাজার ১৫৭ জনের।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২৯ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৪৮৪ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৩০ লাখ ৭ হাজার ৫৬৪ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ১৬ হাজার ৫১০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৩২৮ জন এবং মারা গেছেন ১০৫ জন। একই সময়ে ইতালিতে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪ হাজার ২৪ জন এবং মারা গেছেন ৮৫ জন। ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৯৫১ জন এবং মারা গেছেন ১৮৮ জন।
গত একদিনে ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮ হাজার ১০৪ জন এবং মারা গেছেন ৬২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৪০ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪০ হাজার ৯০৩ জন মারা গেছেন। গত একদিনে জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার ২১০ জন এবং মারা গেছেন ১৫৫ জন।
এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ফিলিপাইনে ২৪ জন, কানাডায় ১৬ জন, হংকংয়ে ২৪৯ জন, আর্জেন্টিনায় ৪৪ জন, ইরানে ৭২ জন, মালয়েশিয়ায় ৮৫ জন, চিলিতে ৬৫ জন এবং থাইল্যান্ডে ৮৭ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ১২৫ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ২১ হাজার ৯৩১ জনের।