অনলাইন ডেস্ক: করোনা মহামারীর সংক্রমণ প্রতিরোধে বিভিন্ন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৮ দফা পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কারিগরি নির্দেশনায় এসব বিষয়ের কথা বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনাগুলো হলো:
১.আবার কাজ শুরুর আগে মাস্ক, তরল হ্যান্ড সোপ, জীবাণুনাশক, স্পর্শবিহীন থার্মোমিটার ও অন্যান্য মহামারি প্রতিরোধক জিনিসপত্র সরবরাহ করতে হবে।
২. প্রতিদিন কাজের আগে ও পরে কর্মীদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করতে হবে। যাদের জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য উপসর্গগুলো দেখা দেবে তাঁদের স্ক্রিনিংয়ের জন্য সময়মতো চিকিৎসা করতে হবে।
৩.ইউনিটের কর্মী ও বাইরে থেকে যারা আসবেন তাঁদের শরীরের তাপমাত্রা মাপতে হবে। যাদের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে না তাদের ইউনিটে ঢুকতে দেওয়া যাবে না।
৪. অফিস, ক্যানটিন ও টয়লেটে ভেন্টিশেলন সুবিধা বাড়াতে হবে। কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এয়ার কন্ডিশনারের স্বাভাবিক ক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে।
৫. ক্যানটিন, থাকার জায়গায়, টয়লেটসহ অন্যান্য জায়গা পরিষ্কার রাখতে হবে ও জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৬. একবারে কমসংখ্যক লোক কম সময়ে খাওয়া শেষ করবেন ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে খাবার খেতে হবে।
৭. কাগজবিহীন ও সংস্পর্শ বিহীন অফিস ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করতে হবে।
৮.ব্যক্তিগত মেলামেশা বা একত্র হওয়া কমাতে হবে এবং সভা, প্রশিক্ষণ এসব কাজ সীমিত করতে হবে।
৯. অফিস, ক্যানটিন, টয়লেটে হাত ধোয়ার জন্য সাবান অথবা জীবাণুনাশক সরবরাহ করতে হবে। যদি হাত ধোয়ার ব্যবস্থা না থাকে তাহলে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে।
১০. কর্মচারীরা একে অপরের সংস্পর্শে আসার আগে মাস্ক পরবেন। যখন হাঁচি অথবা কাশি দেবেন তখন মুখ, নাক, কনুই অথবা টিস্যু দিয়ে ঢেকে নিতে হবে। ব্যবহৃত টিস্যু ঢেকে ডাস্টবিনে ফেলবে। হাঁচি-কাশি শেষে তরল হ্যান্ড সোপ দিয়ে হাত ধুতে হবে।
১১. পোস্টার, সচেতনতামূলক ভিডিও এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে হবে।
১২. জরুরি পৃথককরণ এলাকা স্থাপন করতে হবে। যখন কেউ সন্দেহভাজন হবেন, তখন সেখানে সাময়িকভাবে কোয়ারেন্টিনের জন্য পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
১৩. যদি কোনো এলাকায় কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় তাহলে ওই এলাকার এয়ার কন্ডিশন সিডিসির নির্দেশনা অনুযায়ী জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে এবং পুনরায় কাজ শুরু করা যাবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত স্বাস্থ্যগত পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থা বা হাইজেনিক নিশ্চিত করা যাবে।
১৪. নমনীয় কর্মঘণ্টা ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করতে হবে।
১৫. মানসিক ও মনোসামাজিক বিষয়গুলো মাথায় রেখে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
১৬. উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রমের মাধ্যমে তাঁদের আশ্বস্ত ও চাঙা রাখতে হবে।
১৭. কর্মচারীদের কেউ অসুস্থ বোধ করলে বা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে তাঁর ও পরিবারের সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলো মাথায় রেখে তাঁকে সরকারি বিধি মোতাবেক যথাসাধ্য সহায়তা করতে হবে।
১৮. ঝুঁকিপুর্ণ কাজে নিয়োজিতদের বিমা বা প্রণোদনার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।