কিশমিশের স্বাস্থ্য উপকারিতা

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: খালি মুখে বা পানি দিয়ে ভিজিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি পোলাও, পায়েসসহ বিভিন্ন রান্নায় কিশমিশ ব্যবহার করা হয়। এছাড়া স্বাস্থ্য সচেতনদের অনেকেই কিশমিশ ভেজানো পানি পান করে থাকেন।

অনেকের কাছে কিশমিশ বেশ প্রিয় হলেও এর উপকারিতা অজানা। কিশমিশ খাওয়ার বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। চলুন সেই উপকারিতাগুলো জেনে নেই।

রক্তস্বল্পতায়
কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স থাকে। এ কারণে এটি শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, কিশমিশে থাকা তামা লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।

হজমে
নিয়মিত কিছু পরিমাণে কিশমিশ খেলে তা পেট ভালো রাখদতে সহায়তা করতে পারে। এতে ভালো পরিমানে ফাইবার থাকার কারণে তা পানির উপস্থিতিতে ফুলে উঠতে শুরু করে আর পেটে রেচক প্রভাব দেয় ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

ওজন বৃদ্ধিতে
ওজন বাড়াতে চাইলে সেরা একটি উপায় হতে পারে কিশমিশ খাওয়া। এই ড্রাই ফ্রুটে ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ থাকার কারণে এটি শরীরে প্রচুর শক্তি দিতে পারে। সেই সঙ্গে এটি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল জমতে বাধা দিয়ে ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

রক্তস্বল্পতায়
কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স থাকে। এ কারণে এটি শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, কিশমিশে থাকা তামা লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।

গ্যাস্ট্রিক
কিশমিশে ভালো মাত্রায় পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। আর এ উপাদানগুলো অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এগুলো সিস্টেম থেকে টক্সিন অপসারণের পাশাপাশি গাউট, আর্থ্রাইটিস, কিডনিতে পাথর এবং হৃদরোগের মতো জটিল রোগ প্রতিরোধেও অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করে।

সংক্রমণ দূর করতে
কিশমিশে পলিফেনলিক ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট নামের একটি উপাদান থাকে। এটি মূলত একটি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেই সঙ্গে এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করায় তা জ্বরের ঝুঁকি কমাতে এবং ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত কিশমিশ খেলে তা ঠাণ্ডা এবং অন্যান্য সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে
কিশমিশে ক্যাটেচিং নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটি শরীরকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল কার্যকলাপ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। আর অনেক সময় এ কার্যকলাপটি টিউমার এবং কোলন ক্যান্সারের কারণও হতে পারে।

ত্বকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়
ত্বকের কোষকে যেকোনো ক্ষতি থেকে রক্ষা করেতে অনেক উপকারী বূমিকা পালন করে কিশমিশ। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষ, কোলাজেন এবং ইলাস্টিনের ক্ষতি থেকে ফ্রি র‌্যাডিকেলগুলোকে বাধা দেয়। এর ফলে এটি বলি, সূক্ষ্ম রেখা ও ত্বকে দাগ দেখা দেওয়ার সমস্যাসহ বার্ধক্যের লক্ষণ অনেকটা বিলম্ব করতে সহায়তা করে।