করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত দুই নারী ক্রিকেটার এবং ডেল্টায় আক্রান্ত দলের আরেক সদস্যকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শারীরিকভাবে তারা সুস্থ আছেন।
মঙ্গলবার বিকালে তাদের রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলতে নভেম্বরের শুরুতে জিম্বাবুয়ে গিয়েছিলেন নারী ক্রিকেটাররা। ওমিক্রনের কারণে মাঝপথে বাছাইপর্ব স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর কয়েকটি দেশ ঘুরে গত ৩০ নভেম্বর দেশে ফেরেন তারা।
দেশে ফেরা বাংলাদেশ নারী দলের দুই ক্রিকেটারের করোনা পজিটিভ হয় গত ৫ ডিসেম্বর। বিষয়টি প্রকাশ করা হয় ৬ ডিসেম্বর। এরপর তাদের নমুনা পুনরায় পরীক্ষা করা হয়। গত ১১ ডিসেম্বর তাদের দেহে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে বলে জানায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। তারাই দেশে ওমিক্রনে আক্রান্ত প্রথম রোগী।
মুগদা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বলেন, দুই নারী ক্রিকেটার ও দলের আরেক সদস্যকে মুগদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। আরেকজন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তার মানে এই নয় যে, তাদের অবস্থা খুব খারাপ।
তিনজনই ভালো আছেন জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, ক্রিকেটারদের শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। শুধু অবজারভেশনে (নজরে) রাখার জন্য তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে রাখা হয়েছে। কারণ বাসায় বা হোটেলে পর্যাপ্ত নজরদারি হবে না।
গত ২৫ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা ওমিক্রন নামের একটি নতুন কোভিড-১৯ ধরন শনাক্ত করেন, যা একাধিক মিউটেশনে হয়েছে। ২৬ নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা করেছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় সম্প্রতি আবিষ্কৃত কোভিড-১৯ এর প্রথম শনাক্ত বি.১.১.৫২৯ স্ট্রেন কোভিডের একটি উদ্বেগজনক ধরন হতে পারে।
যদিও প্রথমে যে বিপজ্জনক মনে করা হচ্ছিল ধরনটিকে, এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে সেটা তত ভয়ংকর নয়। ইতিমধ্যে বিশ্বের ৬০টির বেশি দেশে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়লেও এই ধরনে আক্রান্ত কেউ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওমিক্রন ধারণার চেয়ে বেশি গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে, তবে এটি ডেল্টার মতো এতটা প্রাণঘাতী নয়।