ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বর্তমানে দেশে পাঁচ প্রকারের (অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক এবং জনসন ও জনসন) মোট প্রায় দুই কোটি ৭৮ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন মজুদ রয়েছে।’
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে টিকা কার্যক্রমের সার্বিক বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মজুদ টিকা শেষ হলে নতুন করে টিকা কীভাবে পাওয়া যাবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডব্লিউএইচও এবং কোভ্যাক্সের মাধ্যমে টিকা নিয়ে আসা হবে। কিন্তু হাতে বিশাল মজুদ থাকলে নতুন করে আনা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘বছরের এ সময়টি ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের সময়। ক্রমেই দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পর্যাপ্ত উদ্যোগ নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকাতেই ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি দেখা দিচ্ছে। সারাদেশে এক হাজার ৪৭৭ ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ঢাকাতেই রয়েছেন এক হাজার ৩০০ জন। ঢাকার বাইরে বরাবরের মতো ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কম। এ বছর নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। এবার মৃত্যুর সংখ্যা কম, এখন পর্যন্ত তিন জন মারা গেছেন। তবে, আমাদের কাছে একটি মৃত্যুও কাম্য নয়।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের মতো করে পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া, জনগণকে সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভার মতো স্টেক হোল্ডার প্রতিষ্ঠানগুলোকেও কাজ করতে হবে।’