অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, ভাক্সিন কিনতে ইতোমধ্যে টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।এ কারণে আমরা ভাক্সিন পাব। ভাক্সিন কার্যক্রম চালু আছে, এটা অব্যাহত থাকবে।এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। করোনা নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে কারণ এই ভাইরাসটির সংক্রমণরোধ করা গেলে দেশের অর্থনীতি চাপে পড়বে না।তবে বিশ্ব অর্থনীতির আঙ্গিনায় আমরা কিন্তু একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত।আমাদের যারা ক্রেতা তারা যদি অতিমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে আমাদের কষ্ট হতে পারে।
আন্তর্জাতিক মহল যদি বিপদে না পড়ে তাহলে আমরাও বিপদে পড়ব না। আমরা বিপদটা কাটিয়ে উঠতে পারব বলে আশা করছি।এজন্য করোনা নিয়ন্ত্রণ এখন সবচেয়ে বেশি জরুরী।তবে করোনা মোকাবেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভাক্সিন পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
আ হ ম মোস্তফা কামাল আরও বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলে কোন সমস্যায় পড়ব বলে মনে করি না।
তারপরও বিশ্ব অর্থনীতির আঙ্গিনায় আমরা কিন্তু এলাইন। এ কারণে বিশ্ব অর্থনীতি চাপে পড়লে আমাদের অর্থনীতিতে কিছুটা চাপ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।এজন্য বর্তমান সরকারের প্রস্তুতিও রয়েছে। তবে করোনা নিয়ন্ত্রণে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তাতে আমরা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সামর্থ্য হব বলে আশা রাখি।
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। খাদ্য মজুদ বাড়াতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানিসহ মোট ৬টি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫৭ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ২টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ২টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ১টি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। কমিটি যাচাই-বাছাই শেষে মোট ৬টি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে।