আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনার টিকা কোভ্যাক্সিনের ছাড়পত্র দিতে রাজি নয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। জরুরি ব্এযবহারের এ টিকায় ঝুঁকি বা লাভ কতটুকু, সেটার চূড়ান্ত পর্যালোচনা করতে চায় সংস্থাটি। এ জন্য প্রস্তুতকারী কোম্পানির কাছ থেকে কিছু তথ্য চেয়েছে সংস্থাাটি।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কারিগরি পরামর্শক কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, চূড়ান্ত পর্যালোচনার জন্য আগামী ৩ নভেম্বর আবারও বৈঠক করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কারিগরি পরামর্শক দল।
তবে ভারত বায়োটেকের দাবি, উপসর্গযুক্ত করোনা মোকাবিলায় কোভ্যাক্সিন ৭৭ দশিমক ৮ শতাংশ কার্যকর এবং নতুন ডেলটা ধরন রুখতে কোভ্যাক্সিন ৬৫ দশিমক ২ শতাংশ কার্যকর। গত জুন মাসে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এ দাবি করে তারা। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) ও পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির সঙ্গে যৌথভাবে কোভ্যাক্সিন উৎপাদন করছে ভারত বায়োটেক।
ভারতে করোনার টিকা কার্যক্রমের শুরু থেকেই সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ডের পাশাপাশি ভারত বায়োটেকের এ টিকাও ব্যবহার হয়ে আসছে।
ভারত ছাড়াও ব্রাজিল, ইরান, মেক্সিকোসহ ১৬টি দেশ জরুরি প্রয়োজনে ভারত বায়োটেকের উৎপাদিত করোনার এ টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। তবে ডব্লিউএইচও এখনও এই টিকার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয়নি। অনুমোদন পেতে সংস্থাটির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বায়োটেক।