ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় দুই লাখ ২৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এছাড়া একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী মাজিস্ট্রেটরা এসব অভিযান পরিচালনা করেন।
ডিএনসিসির অঞ্চল-০৪ এর আওতাধীন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গুবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানা এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে পশ্চিম মনিপুর এলাকায় নির্মানাধীন ভবনের লিফটের হোলে এডিসের লার্ভা থাকায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে তিনটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় তিনটি মামলায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়া অঞ্চল-১ এর আওতাধীন ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরা সেক্টর নং ৭, ৯ ও ১০ এবং ওয়ার্ড ১৭ এর নিকুঞ্জ-১ ও ২, কুড়িল, কুড়াতলী ও জোয়ার সাহারা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে বাসাবাড়ি ও নির্মানাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লট, ড্রেন ঝোপঝাড়ে কিউলেক্স মশকবিরোধী অভিযান ও সমন্বিততভাবে এডিশ বিরোধী অভিযানে তিনটি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় তিনটি মামলায় মোট ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-১০ এর আওতাধীন ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী জিয়াউল বাসেত। এসময় এডিশ মশার লার্ভা থাকায় তিনটি বাড়ির মালিককে ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও অপর একটি বাসায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
অঞ্চল-২ এর আওতাধীন পল্লবী এলাকায় অভিযানকালে নির্মানাধীন ভবন ও বাসাবাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় তিনটি মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান এই অভিযান পরিচালনা করেন।
অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের সেক্টর ১২ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন অভিযান পরিচালনা করেন। এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন।