ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব আফ্রিকার বাইরে বিশ্ব মহামারিতে রূপ নেবে বলে মনে করছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সোমবার সংস্থাটির এক কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, মাঙ্কিপক্স সংক্রমিত মানুষ যাদের রোগের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না, তাদের কাছ থেকে অন্যরা সংক্রমিত হতে পারে কি না সেটি এখনও স্পষ্ট হওয়া যায়নি। খবর রয়টার্সের।
চলতি মাসে তিনশ’র বেশি মানুষের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হওয়া এবং এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে বলে খবর এসেছে। এর বেশির ভাগই ঘটেছে ইউরোপের দেশগুলোতে।
মাঙ্কিপক্সের এই প্রাদুর্ভাবকে ‘বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যে সম্ভাব্য জরুরি পরিস্থিতির’ (পিএইচইআইসি) নিরিখে মূল্যায়ন করা হবে কি না তা চিন্তা-ভাবনা করে দেখছে ডব্লিউএইচও।
যেমনটি করা হয়েছিল কোভিড-১৯ এবং ইবোলার প্রাদুর্ভাবের ক্ষেত্রে। মাঙ্কিপক্সকে জনস্বাস্থ্যে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করা হলে রোগটির বিস্তার ঠেকাতে দ্রুত গবেষণা এবং এর জন্য তহবিল প্রাপ্তির দ্বার খুলে যাবে।
মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব বিশ্ব মহামারিতে রূপ নিতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ডব্লিউএইচও’র হেলথ এমারজেন্সিজ প্রোগামের গুটিবসন্ত বিষয়ক বিভাগের প্রধান রোসামুদ লুইস বলেন, ‘আমরা জানি না। তবে এমনটি হবে বলে আমরা মনে করছি না। এ মুহূর্তে আমরা বিশ্ব মহামারি নিয়ে উদ্বিগ্ন নই।’
তিনি এও বলেন যে, ‘এই রোগে আক্রান্ত উপসর্গবিহীন মানুষদের কাছ থেকে ভাইরাসটি কোন ভাবে ছড়াচ্ছে কি না সে ব্যাপারে আমাদের হাতে তেমন তথ্য নেই। ফলে এভাবে মাঙ্কিপক্স ছড়াচ্ছে কি না সেটি আমরা সত্যিই এখনও জানি না।’
অতীতের লক্ষণ দেখে বলা যায়, এ বিষয়টি গুরুতর কিছু নয়। কিন্তু এ বিষয়টি সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে হবে।
ডব্লিউএইচও’র হিসাবমতে, গত ২৬ মে পর্যন্ত বিশ্বের ২৩ দেশে ২৫৭ জনের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। তাছাড়া, আরও ১২০ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে এখনও এ রোগে কারও মৃত্যুর কোনও খবর পাওয়া যায়নি।