ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: একদিনে ৭৫ লাখ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলে আগামী দুই দিনও এই কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. খুরশিদ আলম।
মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বুস্টার ডোজ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. খুরশিদ আলম বলেন, ‘৫-১১ বছরের শিশুদের টিকা আলাদা। এটা পয়েন্ট টু এমএলের ডোজ। এই টিকার ভায়াল আলাদা ও সিরিঞ্জ আলাদা। চলতি মাসের শেষে আমাদের বেশ কিছু টিকা ও সিরিঞ্জ এসে পৌঁছাবে। আমরা আশা করছি, চলতি মাসের শেষে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু করা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছি। এটার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একটি মিটিং হবে। এরপর একযোগে সারাদেশে কার্যক্রম শুরু করব। প্রাথমিক ভাবে আমরা ঢাকা থেকে এই কার্যক্রম শুরু করব, পর্যায়ক্রমে সারাদেশে চালু করা হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘মানুষের এখন টিকা নেওয়ার আগ্রহ অনেক কমে গেছে। আগে যে রকম ভয়াবহতা ছিল প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরে সেই ভয়াবহতা না থাকায় আমরা তাদের মধ্যে আগ্রহ কম দেখছি। আমরা চেষ্টা করছি প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে তাদের আগ্রহ বাড়ানোর। মিডিয়া এ ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’
যেহেতু করোনার প্রকোপ আবার বাড়ছে তাই সবাইকে বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক, ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ডা. মো আশরাফুল আলমসহ অধিদপ্তরের অন্য কর্মকর্তারা।