ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: শেরপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৪২টি অনিবন্ধিত প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
শনিবার দিনব্যাপী জেলা শহরের বটতলা থেকে সদর হাসপাতাল রোড, থানা মোড়, সজবরখিলা ও খোয়ারপার এলাকাসহ জেলার শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ি ও নকলা উপজেলায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে লাইসেন্স না থাকায় জেলা শহরের ঢাকা ল্যাব, সততা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শেরপুর চক্ষু হাসপাতাল এন্ড ফেকো সেন্টার, শেরপুর ইবনে সিনা জেনারেল প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শাহজালাল হেলথকেয়ার প্যাথলজি ল্যাব, মমতাজ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শেরপুর ডায়াবেটিক সমিতি, আর এইচ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, একতা স্পেশালাইজড হাসপাতাল, ইনসাফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সিদ্দিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার, খান ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শিরিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার, গ্রীন লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আল মদীনা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জননী হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্রযুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নেক্সাস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আল বারাকা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, দারুশশিফা ইসলামিয়া হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ঢাকা ল্যাব, হাজী নিয়ামতুল্লাহ হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সাফা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক, নিরাপদ জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে, লাইসেন্স থাকার পরও নবায়ন না করায় বেশ কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া শ্রীবরদীতে ছয়টি, ঝিনাইগাতীতে তিনটি, নালিতাবাড়ীতে পাঁচটি, নকলা উপজেলায় দুটি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৪২টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে জেলার সকল অবৈধ প্রাইভেট হাসপাতালের তালিকা তৈরি করে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। যাদেরকে ১৫ দিনের সময় দেয়া হয়েছে তারা যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের আওতায় না আসে তাদেরকে বন্ধ করে দেয়া হবে।