সাদা নাকি হলুদ, ডিমের কোন অংশ বেশি উপকারী?

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: সাধারণত সকালের নাশতায় ডিম সেদ্ধ, অর্ধ সেদ্ধ বা ওমলেট করে খাওয়া হয়ে থাকে। যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন, ডিম শরীরের জন্য ভালো। একটি ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যতালিকা মেনে চলতে গেলে এটি কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। এটি প্রোটিন, ভিটামিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বিতে ভরপুর। প্রতিদিনই একাধিক ডিম খেয়ে থাকেন অনেকেই। বিশেষ করে যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তারা ফিট থাকতে বেশ কয়েকটি ডিম একসঙ্গে খান। ডিম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তবে ডিম খাওয়া নিয়ে নানাজনের নানা মতভেদ আছে।

ডিম তো স্বাস্থ্যকর। তবে প্রশ্ন হলো, ডিমের কোন অংশটি বেশি স্বাস্থ্যকর, সাদা নাকি হলুদ অংশ? ভারতীয় বিখ্যাত গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এর উত্তর জানিয়েছে। আসুন, জানি উত্তরটি।

*ক্যালরি
ডিমের সাদা অংশ ও কুসুমের মধ্যে ক্যালরির বেশ তারতম্য রয়েছে। একটি বড় ডিমের কুসুমে প্রায় ৫৫ ক্যালরি থাকে, যেখানে সাদা অংশে থাকে ১৭ ক্যালরি।

*কুসুম
ডিমের কুসুমের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ডায়াটারি কোলেস্টেরল থাকার কারণে এটি অনেকেই এড়িয়ে যান। এগুলো দেহের কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি করে। তবে ডিমের কুসুমের মধ্যে রয়েছে বেশি পুষ্টি, এ সত্যটিকে কিন্তু কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি৬, বি১২, এ, ডি, ই ও কে। এছাড়া আরো রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ও স্যালেনিয়াম। ডিমের কুসুমের মধ্যে থাকা ক্যারোটিনয়েড দৃষ্টিশক্তি ভালো করে। এটি রেটিনাকেও সুরক্ষিত রাখে। ডিমের কুসুমের মধ্যে ওয়াটার সলিউবল (পানিতে দ্রবণীয়) একটি ভিটামিন রয়েছে। আর এর নাম কোলিন। এটি শরীরের কার্ডিওভাসকুলার কার্যক্রমকে ভালো রাখে।

*ডিমের সাদা অংশ
ডিমের সাদা অংশ মূলত অ্যালবুমিন। এর মধ্যে কম ক্যালরি থাকার কারণে এবং এটি ফ্যাট ফ্রি হওয়ার কারণে বেশিরভাগ স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ এ অংশটি খেতে পছন্দ করে। এটি শরীরকে স্বাস্থ্যকর প্রোটিন দেয়। এটি পেশি বাড়াতেও সহায়তা করে। এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম মিনারেল উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক। এ ছাড়া এর মধ্যে থাকা রিবোফ্ল্যাভিন চোখের ছানি ও মাইগ্রেনের কারণে হওয়া মাথাব্যথা প্রতিরোধে উপকারী।

বেশি উপকারী কোনটি?
ডিমের মধ্যে থাকা ৯৩ ভাগ আয়রনই রয়েছে কুসুমে। আর সাত ভাগ আয়রন রয়েছে সাদা অংশে। ৯০ ভাগ ক্যালসিয়াম রয়েছে কুসুমে। আসলে দুটো অংশই উপকারী। তবে পুষ্টির কথা বিবেচনায় আনা হলে ডিমের কুসুম কিন্তু বেশি উপাকারী। তাই ডিমের কুসুম ফেলে দেওয়ার আগে আরেকবার ভাবুন। সব ধরনের পুষ্টি পেতে চাইলে সম্পূর্ণ ডিমটিই খান।

যাঁরা কোলেস্টেরল নিয়ে ভাবছেন বা এর ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাঁরা পরিমিতভাবে কুসুম খেতে পারেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।