ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ টিটো মিঞা বলেছেন, আমরা যারা ছোটবেলায় স্মল পক্সের টিকা নিয়েছি, তাদের খুশি হওয়ার কারণ নেই। টিকা নেওয়া থাকলেও নতুন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারি। গর্ভবতী নারী, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তিদের আরও সতর্কভাবে রাখতে হবে। তবে এ পক্স নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
আজ শনিবার সকালে ঢামেক হাসপাতালের ডা. মিলন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে টিটো মিঞা আরও বলেন, আমাদের দেশে এটা এখনও আসেনি। তবে আমাদের মন্ত্রণালয়সহ স্বাস্থ্যখাত প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের আইইডিসিআরও প্রস্তুত রয়েছে। সেখানেও পিসিআর টেস্ট করা যাবে।
তিনি বলেন, আমাদের সচেতন থাকতে হবে। আর টেস্টের মাধ্যমে কারোর শরীরে এটা সনাক্ত হলে চিকিৎসার পাশাপাশি ৫ থেকে ২১ দিনের কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে থাকতে হবে। মাঙ্কিপক্সের জন্য দেশ থেকে আমাদের আলাদা করে এখনও কোনো গাইডলাইন দেওয়া হয়নি। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন আছে, আমরা তা ফলো করতে পারি।
সেমিনারে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, আজকে এই সভার উদ্দেশ্য সচেতনতা তৈরি করা।
হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আউটডোর, মেডিসিন বা অন্য কোনো বিভাগে এমন লক্ষণ নিয়ে কোনো রোগী এলে আমরা যেন সচেতন থাকি, যাতে সঙ্গে সঙ্গে সেটা সনাক্ত করতে পারি। পরবর্তীতে ওই রোগীকে যেন অন্য কোথাও গিয়ে এটা সনাক্ত করতে না হয়। হজের পর হাজিরা দেশে ফিরলে তাদেরও টেস্ট করাতে হবে। আবার আসন্ন ঈদেও বর্ডার দিয়ে বিভিন্ন গবাদি পশু আমাদের দেশে আসবে। সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনো পশুর মাধ্যমে এটা ছড়িয়ে না পরে।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন- ঢামেকের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শফিকুল আলম চৌধুরী, ঢামেক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালকদার, বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক নার্সসহ আরও অনেকে।
সবাইকে মাস্ক পরে থাকার পরামর্শও দেন চিকিৎসকরা। এছাড়া সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, হাত স্যানিটাইজার করার পরামর্শ দেন তারা।