ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: কুমিল্লা নগরীর চকবাজারের তেলিকোনা এলাকার নিবেদিতা নামে একটি বেসরকরি হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতি ও ওষুধ সংরক্ষণের ফ্রিজে গরুর মাংস পেয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এ ঘটনায় হাসপাতালটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় নিবেদিতা হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। এ সময় ওই হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতি ও ওষুধ সংরক্ষণের ফ্রিজে গরুর গোসত পাওয়া যায়। এ ছাড়া হাসপাতালে সদ্য অপারেশন করা একজন রোগী পাওয়া গেলেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনো নার্স বা ডাক্তার ওই রোগীকে দেখতে আসেননি। তাছাড়া কোনো ডাক্তার বা নার্সও ওই হাসপাতালে দেখা যায়নি।
এমন অবেহেলা ও স্বাস্থ্য সেবার মানের দুরবস্থার কারণে হাসপাতালটি সিলগালা করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে রোগী থাকায় তা তাৎক্ষণিক বন্ধ করা হয়নি। নতুন রোগী ভর্তি না করিয়ে বর্তমানে যারা আছে তাদের চলে যাওয়ার পর এই হাসপাতাল বন্ধ করা হবে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (কো-অর্ডিনেটর) আবদুল্লাহ আল সাকী বলেন, আমরা তিনটি হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছি। দুইটির সামান্য কিছু ত্রুটি ছিল। তাদের সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু নিবেদিতা হাসপাতালে অবস্থা খুবই নাজুক। সামান্য সংখ্যক রোগী। কোনো ডাক্তার নেই, নার্স নেই, কোনো বর্জ্য ব্যবস্থা নেই। রোগীরা অভিযোগ করেছেন, একজন ম্যানেজার আছেন, তিনি ডাক্তার, তিনিই নার্স আবার তিনি অপারেশনও করেন।
আমরা হাসপাতালটি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছি। তবে কিছু রোগী থাকায় বলেছি নতুন কাউকে ভর্তি না করে যারা ভর্তি আছেন তাদের দ্রুত ব্যবস্থা করতে। শিগগিরই আমরা যাব আবার সেই হাসপাতালে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা কেয়া রাণী। তিনি বলেন, ওই হাসপাতালের ফ্রিজে গরুর মাংস দেখেছি। ওই ফ্রিজটি যদিও অপারেশন থিয়েটারের বাইরে কিন্তু অপারেশনের সময় তা ভেতরে নেওয়া হয় এবং এটাতেই অপারেশনের ওষুধ ও যন্ত্রপাতি রাখা হয়।
এই ফ্রিজটির নিচের অংশে যন্ত্রপাতি ও ওপরের অংশে মাংস রাখা ছিল। যার ফলে জীবাণু ছড়িয়ে পড়াটা একদমই স্বাভাবিক। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি হাসপাতালটি সিলগালা করে দেওয়ার।