ভোক্তাকন্ঠ রিপোর্ট: ২০৩০ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়া নির্মূল করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার (১০ আগস্ট) হোটেল রেডিসনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে অনেক দূর এগিয়েছে। আগে গ্রামে মানুষের অনেক অভাব ছিল। চিকিৎসার তেমন ভালো ব্যবস্থা ছিল না। বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। যেসব অঞ্চলে ম্যালেরিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে সেসব অঞ্চল চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, গত তিন বছরে ১৫ হাজার চিকিৎসক এবং ২০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি যারা সেবা দিচ্ছেন তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে তার সঠিক চিকিৎসা দিতে পারে রোগীদের।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ৫৭ হাজার ম্যালেরিয়া রোগী ছিল। বর্তমানে পাঁচ থেকে ছয় হাজারে নেমে এসেছে। কিন্তু গত দুই বছর ধরে এ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। এ রোগে মৃত্যু বাড়ার কারণ হলো তারা দেরিতে চিকিৎসা নিয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে জ্বর হলে অনেকে হাসপাতালে যেতেন না। তাই মৃত্যুর হার বেড়ে গিয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্যই দেশে তেলের দাম বেড়েছে মন্তব্য করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তেলের দাম শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবীতেই বেড়েছে। আর দেশের অভ্যন্তরীণ কোনো কারণে দাম বাড়েনি। বেড়েছে একমাত্র যুদ্ধের প্রভাবেই। কিন্তু এটি নিয়ে বিরোধীরা মিথ্যাচার করছে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার ইচ্ছে করে দাম বাড়ায়নি। বাড়ানোর কারণ, সরকার অনেক বেশি দামে তেল কিনেছে। আগামী দিনগুলোতে যাতে তেলের সংকট না হয়, ঠিকঠাক মতো যেন আমরা তেল পাই সেজন্যই বাড়ানো হয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে লোডশেডিং দিচ্ছে। তেলের দামও সবসময় একরকম থাকবে না। বিশ্ব বাজারে কমলে দেশেও কমানো হবে। এতোকিছুর পরও তো দেশে খাদ্যের অভাব হয়নি, হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা কার্যক্রম ঠিকঠাক মতোই চলছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতি প্রতি ভালোবাসা থাকলে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। এক সময় দেশে কিছুই ছিল না। গ্রামে-গঞ্জে রাস্তাঘাট ছিল না, বিদ্যুতের আলো ছিল না। চিকিৎসার অবকাঠামো ছিল না। এখন মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছি। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে, উপজেলা-জেলা হাসপাতাল রয়েছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসকসহ ওষুধের কোনো সংকট নেই।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডব্লিউএইচও) বাংলাদেশ রিপ্রেজেনটেটিভ ড. বার্দান জাং রানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।