বাংলাদেশকে করোনাভাইরাসের ২০ লাখ ৬ হাজার ৪০০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উপহার দিয়েছে ফ্রান্স। সুইডেনও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৫ লাখ ৩০ হাজার ২০০ ডোজ টিকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যাঁ-মেরিন সু দেশটির দেওয়া টিকা হস্তান্তর করেন। ফ্রান্সের উপহারের এসব টিকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. জাহিদ মালেক, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
টিকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফ্রান্স সফরে বিরল সম্মাননা দেওয়া হয়। এমন সম্মাননা আগে কখনও দিতে দেখিনি আমি। ফ্রান্স আমাদের ২০ লাখ ৬ হাজার ৪০০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উপহার দিয়েছে। আমি খবর পেয়েছি সুইডেনও বাংলাদেশকে ৫ লাখ ৩০ হাজার ২০০ ডোজ টিকা দেবে। এভাবে টিকা আসতে থাকবে।
ফ্রান্সকে টিকা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ফ্রান্স আমাদের যে টিকা উপহার দিল এটা আমাদের টিকাদান কর্মসূচিকে বেগবান করবে। ফ্রান্স সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ফ্রান্সের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক। টিকা উপহারের বিষয়টি সামনের দিনে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করবে।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের প্রস্তুতি জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, আমরা চাচ্ছি না দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কেউ বাংলাদেশে প্রবেশ করুক। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন যেসব দেশে পাওয়া গেছে সেখান থেকে কাউকে দেশে প্রবেশ না করার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়া এসব দেশ থেকে এলে অবশ্যই ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যাঁ-মেরিন সু দেশটির দেওয়া টিকা হস্তান্তর করেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সময় ওমিক্রন ঠেকাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চান।
ওমিক্রন ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশকে রেড লিস্টের তালিকায় ফেলে। পরে ওই তালিকা থেকে বাংলাদেশকে বাদ দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত ১২টি দেশকে এ তালিকায় রেখেছে। সেখানে বাংলাদেশকেও রাখা হয়। আমরা তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করি। তারা আমাদের এ তালিকা থেকে বাদ দেয়।
‘আমরা তাদের বলেছি, সামনে মৈত্রী দিবস। বিশ্ব শান্তি সম্মেলনও আছে। এছাড়া আছে আমাদের বিজয় দিবস। এসব ইস্যুতে এখান থেকে লোকজন ওখানে যাবে, আবার ওখান থেকে এখানে আসবে। তারা আমাদের কথা শুনেছে।’