ঢাকায় জিকা ভাইরাস শনাক্ত

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ঢাকায় এবার জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

গত তিন মাসে আট জনের শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

তাহমিনা শিরীন বলেন, গত দেড়-দুই মাসের নমুনা পরীক্ষায় জিকা শনাক্ত হয়েছে। জিকা শনাক্ত ব্যক্তিরা রাজধানীর ধানমন্ডি, শ্যামলী ও বনানীর বাসিন্দা। আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে পাওয়া মশার নমুনাতেও জিকা ভাইরাস পাওয়া গেছে।

এডিস মশাবাহিত জিকা রোগ দেশে প্রথম শনাক্ত হয় ২০১৪ সালে। গত বছর পাঁচ জন জিকা রোগী শনাক্ত করে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)।

সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিকা শনাক্ত হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি বড় ধরনের সতর্ক সংকেত। চিকিৎসা ও প্রতিরোধ বিষয়ে নতুন করে ভাবতে হবে, কাজ করতে হবে।

আইইডিসিআর বলছে, জিকার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা দিতে হয়। আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশ্রাম নিতে হবে, প্রচুর পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে, জ্বর ও ব্যথার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খেতে হবে। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে কাছের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।

আইইডিসিআরের ওয়েবসাইটে জিকা রোগ বিষয়ে বলা হয়েছে, ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। বাকি ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। জিকায় আক্রান্ত ব্যক্তির চামড়ায় লালচে দানার মতো ছোপ (র‍্যাশ) দেখা দেয়। সঙ্গে মাথা ব্যথা, চোখ লালচে হওয়া, মাংসপেশি ও গিঁটে ব্যথা থাকে। আক্রান্ত হওয়ার ৩ থেকে ১২ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়, থাকে ২ থেকে ৭ দিন।

গত আড়াই মাসে আইসিডিডিআরবি’র সংক্রামক রোগ বিভাগের গবেষকেরাও তাদের গবেষণাগারে নমুনা পরীক্ষায় জিকা রোগী শনাক্ত করেছেন। অন্তত চার জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষায় জিকা শনাক্ত হয়েছে।

অর্থাৎ আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা গত তিন মাসে আট জনের জিকায় সংক্রমিত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন।

ঢাকার বাইরে জিকা ভাইরাসের কী পরিস্থিতি তা জানা নেই। কারণ, ঢাকার বাইরের নমুনা আইসিডিডিআরবি বা আইইডিসিআর পরীক্ষা করেনি।