রেশন প্রথা সংকট মোকাবিলার উপযুক্ত পন্থা মনে হয় না: গোলাম রহমান

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:

ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান। পেশাদার কর্মজীবনে ছিলেন বাণিজ্য সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব। সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পর প্রথমে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান এবং পরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। লাগাতার নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি এবং প্রাসঙ্গিক সংকটগুলো নিয়ে গোলাম রহমান কথা বলেছেন দেশ রূপান্তরের সঙ্গে।

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সম্পাদকীয় বিভাগের আহমেদ মুনীরুদ্দিন

দেশ রূপান্তর : রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে সারা দেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এখন চাল-ডাল-তেল-পেঁয়াজ-চিনিসহ নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে চিন্তিত। লাগাতার মূল্যস্ফীতিতে সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। সরকার এবং ব্যবসায়ীরাও বলছেন বাজারে সব পণ্যেরেই পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তাহলে এই পরিস্থিতি কেন হচ্ছে?

গোলাম রহমান : সাধারণভাবে বলা হয় বাজারে প্রতিযোগিতা থাকলে সরবরাহ ও চাহিদা দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করে। পণ্যভেদে সরবরাহ ও চাহিদা ভিন্ন ভিন্ন কারণে হ্রাস বৃদ্ধি পায়। কিছু পণ্যের চাহিদা সম্পূর্ণভাবে দেশীয় উৎপাদন থেকে মেটানো হয়। কিছু পণ্যের সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে আমদানিনির্ভর। অধিকাংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা দেশজ উৎপাদন এবং আমদানির মাধ্যমে মেটানো হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই করোনা পরবর্তী সময়ে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। আবার, সরবরাহ ঘাটতির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে কিছু পণ্যের দাম এখন বেশ চড়া। একই সঙ্গে পরিবহনের জাহাজভাড়া বেড়েছে। ডলার-টাকার মূল্য হারের অবমূল্যায়নে টাকার অঙ্কে আমদানিমূল্য বেড়েছে। শতাংশ হিসাবে আরোপিত শুল্ক-করের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোজ্য তেল, চিনি, ডাল, চাল এমন অতিপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করেছে মাত্র কয়েকটি আমদানিকারক, পরিশোধনকারী ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশের বাজারে তার প্রভাব পড়ছে।

দেশ রূপান্তর : টিসিবির ট্রাকের সামনে মানুষের লাইন প্রতিদিনই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। কিন্তু সারা দেশের কোটি কোটি মানুষের জন্য ট্রাকের সংখ্যা মাত্র ৪০০টি। সরকারি হিসাব বলছে প্রতিটি ট্রাকে ২৫০ জনকে দেওয়ার মতো পণ্য থাকে। অর্থাৎ টিসিবির সব ট্রাক মিলিয়ে প্রতিদিন মাত্র এক লাখ মানুষকে পণ্য দেওয়া সম্ভব। টিসিবির ট্রাক সেল পরিস্থিতি সামলাতে সত্যিকার অর্থে কতটুকু প্রভাব রাখতে সক্ষম বলে মনে করেন?

গোলাম রহমান : টিসিবি ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে স্বল্পবিত্তের ভোক্তাদের কাছে কয়েকটি পণ্য নির্দিষ্ট পরিমাণে বিক্রি করে। টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য কিনে কিছু ভোক্তা উপকৃত হন। ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির পরিমাণ বাজারের সামগ্রিক চাহিদার অতি সামান্য অংশ। টিসিবির ট্রাক সেল সার্বিক বাজার পরিস্থিতিতে তেমন কোনো প্রভাব ফেলে বলে মনে হয় না।

দেশ রূপান্তর : রমজান ও ঈদের আগে পরিস্থিতি সামলাতে সরকার সারা দেশে মোট ১ কোটি মানুষকে কমদামে টিসিবির পণ্য কিনতে বিশেষ কার্ড দিতে যাচ্ছে। এতে তালিকাভুক্ত একটি পরিবার বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে রমজানের আগে এবং ঈদের আগে দুই দফায় কমদামে পাঁচটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারবেন। এভাবে হয়তো আরও কিছু মানুষ সুলভে পণ্য পাবেন। কিন্তু এতে করে কি রমজানকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য কমবে নাকি নিত্যপণ্যের দাম কমবে?

গোলাম রহমান : কার্ডের মাধ্যমে টিসিবি সারা দেশে এক কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য সরবরাহ করবে। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। প্রতি পরিবারে গড়ে ৫ জন সদস্য থাকলে এতে ৫ কোটি স্বল্পবিত্তের মানুষের সাময়িক চাহিদা মিটবে এবং তারা প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবেন। এভাবে এক বিশাল জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণের ফলে সার্বিক বাজার পরিস্থিতিতেও ইতিবাচক প্রভাব প্রত্যাশা করা যায়।

দেশ রূপান্তর : করোনা মহামারীতে দেশে বিপুলভাবে দারিদ্র্য বেড়েছে। ব্র্যাক-পিপিআরসি ও সানেমের গবেষণায় করোনার অভিঘাতে এ মুহূর্তে বাংলাদেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের সংখ্যা কমপক্ষে সাড়ে সাত কোটি। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেকেই দেশব্যাপী রেশন চালু করার দাবি জানাচ্ছেন। তবে সরকার এই বিষয়ে কোনো ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না। রেশন চালুর দাবিকে আপনি কীভাবে দেখেন?

গোলাম রহমান : সাধারণত পণ্যের সরবরাহ সংকট থাকলে রেশন প্রথা কিছুটা স্বস্তি প্রদান করে। বাজারে এখন পণ্য সরবরাহের ঘাটতি নেই, কিন্তু পণ্যমূল্য চড়া। পণ্যমূল্য স্বল্প ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। আয়-রোজগার বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টানা গেলে এই সংকট কেটে যাবে। রেশন প্রথা প্রবর্তন বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংকট মোকাবিলার উপযুক্ত পন্থা বলে মনে হয় না।

দেশ রূপান্তর : নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে দেশের কৃষি উৎপাদন এবং আমদানি-রপ্তানির সম্পর্ক কতটা প্রত্যক্ষ বলে মনে করেন? নাকি ব্যাবসায়ীদের সিন্ডিকেট আর কারসাজিতেই বারবার দ্রব্যমূল্য বাড়তে থাকে? বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আর বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন এ বিষয়ে কতটুকু ভূমিকা রাখছে?

গোলাম রহমান : উৎপাদন ব্যয় এবং আমদানিমূল্য পণ্যমূল্য প্রভাবিত করে। বর্তমানে আমদানিমূল্য বৃদ্ধির কারণে বাজারে ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলাসহ অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে এও সত্যি, বিগত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশক থেকে বাংলাদেশ মুক্তবাজার অর্থনীতির চর্চার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার প্রত্যক্ষভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকছে এবং বাজার মনিটরিং, আইন ও বিধিবিধান ও নীতি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ সৃষ্টি করে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চালন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং ভোক্তাসহ সব পক্ষের স্বার্থ সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় আইনি ও প্রতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে না ওঠায় অনেক ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির পরিবর্তে সংকুচিত হয়েছে এবং বাজারের নিয়ন্ত্রণ মুষ্টিমেয় কিছু ব্যবসায়ীর হাতে চলে গেছে। ফলে বিশ্ববাজারে কোনো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পেলে দেশের বাজারে সঙ্গে সঙ্গে তার প্রভাব পড়ে আর মূল্য হ্রাসের সুফল ভোক্তা পর্যায়ে বিলম্বে পৌঁছে। আবার এমন অভিযোগও আছে কারসাজির মাধ্যমে কৃত্রিম সরবরাহ সংকট সৃষ্টি করে কখনো কখনো অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট পণ্যমূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে অতি মুনাফা অর্জন করে। তবে একমাত্র ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে পণ্যমূল্য বাড়ে এমন ধারণা বস্তুনিষ্ঠ নয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বা প্রতিযোগিতা কমিশনের একক প্রচেষ্টায় পণ্যমূল্য বা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের স্ব স্ব কার্যপরিধিতে এসব বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করে। যেমন, দেশে সরবরাহ ঘাটতি হওয়ায় চাল আমদানির শুল্ক হ্রাস করা হয়েছে এবং সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সরকার ৫০ লাখ লোককে ১০ টাকা কেজি মূল্যে কার্ডের মাধ্যমে চাল সরবরাহ করছে। সরকারি গুদাম থেকে খোলাবাজারে চাল বিক্রির কার্যক্রমও গৃহীত হয়েছে। এতে চালের মূল্যবৃদ্ধিতে হ্রাস টানা অনেকটাই সম্ভব হয়েছে।

বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলসহ কিছু পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সে সব পণ্যের ওপর আরোপিত ভ্যাট হ্রাস করেছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাতে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য ক্রয় করতে সক্ষম হয়, সে লক্ষ্যে টিসিবির ট্রাক সেল সম্প্রসারিত করা হয়েছে এবং এক কোটি মানুষকে ভর্তুকি মূল্যে কার্ডের মাধ্যমে কয়েকটি অতি প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে। পণ্য সরবরাহ চেইন যাতে বিঘ্নিত না হয়, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কেউ যাতে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি করতে না পারে সে উদ্দেশ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকি ও বাজার অভিযান জোরদার করা হয়েছে এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অনেক পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ আমদানিমূল্য বৃদ্ধি, যার নিয়ন্ত্রণ সরকারের আওতার বাইরে, ফলে মূল্য হু হু করে বাড়ছে এবং মূল্য পরিস্থিতি স্বল্প এবং নিম্ন-মধ্যবিত্তের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।

দেশ রূপান্তর : আপনি দীর্ঘদিন ধরে ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা ক্যাব-এর সভাপতি হওয়ার আগে আপনি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশে নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধির দুষ্টচক্রটি কেন ভাঙা যাচ্ছে না? সরকারের জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরই বা এখানে কী ভূমিকা রাখছে? সমস্যাটা কোথায় বলে মনে করেন?

গোলাম রহমান : আমি ইতিমধ্যেই বলেছি, একমাত্র ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে পণ্যমূল্য বাড়ে এমন ধারণা বস্তুনিষ্ঠ নয়। তবে কারসাজির মাধ্যমে কৃত্রিম সরবরাহ সংকট সৃষ্টি করে কখনো কখনো অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট পণ্যমূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে অতি মুনাফা অর্জন করে, এই অভিযোগও একেবারে অমূলক নয়। বিশেষ কোনো পণ্যের সরবরাহ ঘাটতির কারণে মূল্যবৃদ্ধি পেলে সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নয়নের মাধ্যমে সংকট থেকে উত্তরণ এবং মূল্য স্থিতিশীল করা সম্ভব। এই প্রেক্ষাপটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে Business Division , Consumers’ Division নামে দুটি পৃথক ডিভিশন সৃষ্টি করা জরুরি হয়ে পড়েছে। Business Division মন্ত্রণালয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়সমূহ দেখবে। Consumers’ Division ১৫/২০টি অতি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যাতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে তার ব্যবস্থা নেবে। প্রতিনিয়ত সরকারের গৃহীত নানা সিদ্ধান্ত ভোক্তাস্বার্থ প্রভাবিত করে। এই উরারংরড়হ সরকারের নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে ভোক্তাদের প্রেক্ষাপট তুলে ধরা এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে সমন্বয় সাধনের দায়িত্ব পালন করবে। ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণের পাশাপাশি মুক্তবাজার ব্যবস্থার আওতায় বাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকারের প্রত্যক্ষ সক্ষমতা অর্জনেরও পদক্ষেপ নেবে। কোনো পণ্যের চাহিদার ২৫/৩০ শতাংশ সরবরাহের সক্ষমতা যদি সরকারের থাকে তাহলে কোনো ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের পক্ষে বাজার নিয়ন্ত্রণ বা কারসাজি করে মূল্যবৃদ্ধি করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। প্রসঙ্গত, প্রতিবেশী দেশ ভারতে এই দায়িত্ব পালনের জন্য Consumers’ Rights and Public Distribution নামে একটি পৃথক মন্ত্রণালয় গেল শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে সৃষ্টি করা হয়েছে।

দেশ রূপান্তর : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

গোলাম রহমান : আপনাকে এবং দেশ রূপান্তরকেও ধন্যবাদ।