ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: অনলাইনে ভোক্তাদের হয়রানি ও প্রতারিত হওয়া, ন্যায্যমূল্যে নিরাপদ খাদ্য ও নিত্যপণ্য না পাওয়া, অভিযোগ করেও প্রতিকার না পাওয়া এবং ভোক্তা-অধিকার সুরক্ষার নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি গোলাম রহমান।
সাবেক সচিব গোলাম রহমান অবসরগ্রহণের পর এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি ‘ক্যাব’ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের ট্রাস্টি ও সহ-সভাপতি। বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবসকে সামনে রেখে তিনি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।
প্রশ্ন: ২০০৯ সালের ‘ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন’ অনুসারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রায় দেড় দশকে এই সংস্থাটির কার্যক্রম লক্ষ্য অর্জনে কতটা অগ্রসর হতে পেরেছে বলে আপনার মনে হয়?
গোলাম রহমান: ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইনটি প্রণয়নের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। তার প্রেক্ষিতে প্রথমে একটি অর্ডিন্যান্স হিসেবে এটি জারি করা হয়। পরে ২০০৯ সালের নতুন জাতীয় সংসদ ভোক্তা-অধিকার আইনটি পাস করে। ভোক্তাদের যেসব অধিকার আছে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই সে বিষয়ে জানত না বা সচেতন ছিল না। মানুষ যখন প্রতারিত হতো বা অধিকার থেকে বঞ্চিত হতো, তখন তার যে এর প্রতিকার পাওয়ার অধিকার রয়েছে সে বিষয়টিই সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ছিল না। এই আইনটি প্রণয়নের পরও কয়েক বছর চলে গেছে নানা বিধি-বিধান করতে। সম্ভবত এর কার্যক্রম শুরু হয় দুই তিন বছর পরে। ক্রমান্বয়ে এ বিষয়ে মানুষের সচেতনতা বেড়েছে। বিশেষ করে, গণমাধ্যম এ বিষয়ে নানারকম প্রতিবেদন করে, মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে।
কিন্তু ভোক্তদের সংকট নিরসনে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুব যে বেশি কিছু করতে পারছে তা কিন্তু আমার মনে হয় না। যেমন এখন যেরকম উচ্চ মূদ্রাস্ফীতি বা জিনিসপত্রের দামবৃদ্ধি চলছে, এটা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কিন্তু এককভাবে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এককভাবে রয়েছে তা নয়। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে বাজারের সরবরাহ ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন বৃদ্ধি, মুদ্রানীতি, রাজস্বনীতি, আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণসহ নানামুখী পদক্ষেপের সমন্বয়ের দরকার আছে। এটা সরকারের সামগ্রিক প্রচেষ্টার ওপর নির্ভর করে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের ঘটনাবলীর সঙ্গেও পণ্যমূল্যসহ অনেককিছু নির্ভর করে।
তবে, জনগণের মধ্যে ভোক্তা-অধিকারের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে এই অধিদপ্তরের কর্মকাণ্ড উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে বলে আমি মনে করি। আর সাধারণ মানুষ যদি সরকারের কোনও বিভাগ বা দপ্তরকে জনবান্ধব হিসেবে মনে করে তাহলে তার মধ্যে বোধহয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নামই সবার ওপরে থাকবে বলে আমার মনে হয়।
প্রশ্ন: কার্যপরিধি অনুসারে ‘জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর’ পণ্য ও পরিষেবার বিষয়ে ভোক্তাদের অভিযোগ নিষ্পত্তির দায়িত্বপ্রাপ্ত। অন্যদিকে, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব মূলত বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন বা ‘বিএসটিআই’-এর। আবার বিষয়গুলোর প্রায়োগিক বিষয় দেখা বা আইনপ্রয়োগ নিশ্চিত করার দায়িত্ব ভিন্ন কর্তৃপক্ষের। এক্ষেত্রে এসব সংস্থার মধ্যে আন্ত:সমন্বয়ের বিষয় বা কোনও সংঘাতের বিষয় রয়েছে কি?
গোলাম রহমান: ‘বিএসটিআই’-এর দায়িত্ব পণ্যের মান নির্ধারণ করে দেওয়া। এরপর পণ্যটি নির্ধারিত মূল্যে ও মানে বিক্রি হচ্ছে কি না, আইন প্রতিপালিত হচ্ছে কি না এসব দেখার দায়িত্বও আছে ভিন্ন ভিন্ন দপ্তরের। এগুলো সাংঘর্ষিক নয় বরং পারষ্পরিকভাবে সম্পূরক-পরিপূরক দায়িত্ব। কিন্তু প্রায়োগিক ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা যায় অন্য জায়গায়। বিষয়টা বৃহত্তর বাজার ব্যবস্থাপনার, বাজার তদারকির, সরবরাহ ব্যবস্থার এবং উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদের সততাসহ সামাজিক সংস্কৃতিরও।
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী একটা বাস্তব সত্যি কথাই বলেছেন। কিন্তু এজন্য হাত গুটিয়ে তো বসে থাকা যাবে না। সরকারকে অবশ্যই দায়িত্ব নিতে হবে। ফলে সরকারকে বাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক কালে সশরীরে পণ্য কেনার পাশাপাশি অনলাইনে কেনাবেচাও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু ‘ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইনে’ অনলাইন কেনাবেচায় ক্রেতার স্বার্থ সুরক্ষার কোনো নীতিমালা না থাকায় বিক্রেতা বা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছেমতো শর্ত আরোপ করে চলেছে, যে কারণে ক্রেতা বা সেবাগ্রহীতারা প্রতারিত হলেও প্রতিকার পাচ্ছেন না। এই সংকটের সুরাহা কিভাবে হতে পারে?
গোলাম রহমান: আমার যতটা মনে পড়ে এক্ষেত্রে অনলাইনে এবং বিশেষ করে, মাল্টি লেয়ার মার্কেটিং ব্যবসায় অনেক অনেক প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। এসব বিষয় নিয়ন্ত্রণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যংক এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কাজ করছে। এজন্য একটি বিশেষ কমিটিও করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আর সম্প্রতি একটি নীতিমালাও হয়েছে। আর সর্বশেষ পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে এসব ক্ষেত্রে কিছুটা লাগাম টানা গেছে। তবে, এসব ক্ষেত্রে বাস্তবতার বিবেচনায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইনে সময়োপযোগী সংশোধন আনা যেতে পারে। একইসঙ্গে আমার মনে হয় অনলাইন কেনা-বেচার ক্ষেত্রে প্রতারণার বিষয়টি সাইবার ক্রাইমও। ফলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকেরও এ বিষয়ে যথেষ্ট কাজ করার আছে বলে মনে হয়।
প্রশ্ন: সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে বিচারিক ক্ষমতা দিলে ভালো হয়। অন্যদিকে, আমরা দেখছি, প্রতিবেশী দেশ ভারতে ক্রেতাদের স্বার্থ সুরক্ষায় ‘ক্রেতা সুরক্ষা আদালত’ স্থাপন করে কার্যক্রম চালু হয়েছে ১৯৮৬ সালে। তাতে সে দেশের ভোক্তা-অধিকারের সুরক্ষা বেড়েছে। বাংলাদেশের কোন পথে অগ্রসর হওয়া উচিৎ?
গোলাম রহমান: এখন যে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিচারিক ক্ষমতা একেবারে নেই তা তো নয়। তারা জরিমানা করতে পারে। তবে তাদের ম্যাজিস্ট্র্যাসির ক্ষমতা নেই। কিন্তু যখন মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে তখন কিন্তু জরিমানার পাশাপাশি গ্রেপ্তারও করতে পারে। অধিদপ্তর ইচ্ছা করলে আদালতে মামলা করে প্রতারককে আইনের আওতায় আনতে পারে। তবে আমাদের দেশে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও কোর্ট নাই। যেটা ভারতে আছে বলে আপনি বলছেন। আমাদের দেশে যদি এ বিষয়ে বিশেষ আদালত থাকে এবং অধিদপ্তর যদি তাদের মাধ্যমে ভোক্তাদের সুরক্ষার বিষয়টি দ্রুততর করতে পারে তাহলে তো ভালোই হওয়ার কথা।
প্রশ্ন: আমাদের দেশে ভোজ্যতেল, চিনি ও গমের মতো অনেক পণ্যই ৯০ ভাগ আমদানিনির্ভর এবং আর হাতো গোণা কয়েকটি কোম্পানি এসব পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত না করা ও সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর শাস্তি দিতে কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দিলে চাহিদা ও জোগান ব্যাহত হবে বিধায় ভোক্তাদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী এমন বক্তব্য দিয়েছিলেন। এই মানসিকতা কি সরকারের ভোক্তা-অধিকার সুরক্ষার দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া বলে মনে করেন?
গোলাম রহমান: আমাদের দেশে এখন যে মুক্তবাজার অর্থনীতির বাজার ব্যবস্থা চলছে, সেটা জোরেশোরে শুরু হয়েছিল গত শতকের নব্বইয়ের দশকে। এখানে মূল কথা ছিল বাজারে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করে ভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষা করা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, আমাদের এখানে বিশেষ বিশেষ পণ্যের উৎপাদক, আমদানিকারক, রিফাইনারির সংখ্যা কমছে এবং হাতে গোণা কয়েকটি কোম্পানির হাতে চলে যাচ্ছে। ফলে বাজারের প্রতিযোগিতা দিন দিন সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। কিছু প্রতিষ্ঠান বাজারের ওপর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলছে। দেখা যাচ্ছে তারাই আমদানিকারক আবার তারাই সরবরাহকারী। এখন আমদানি অন্য কেউ নতুন করে করতে পারে কিন্তু ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক চট করে পাল্টানো যায় না। এখন কথা হলো, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী একটা বাস্তব সত্যি কথাই বলেছেন। কিন্তু এজন্য হাত গুটিয়ে তো বসে থাকা যাবে না। সরকারকে অবশ্যই দায়িত্ব নিতে হবে। ফলে সরকারকে বাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।
সর্বশেষ যে আইনটি করা হয়েছে সেটা দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য করা হয়েছে। জ্বালানি মূল্য নির্ধারণে ভোক্তার অংশগ্রহণ সংকুচিত বিইআরসি-কে যেভাবে অকার্যকর করা হয়েছে এটা সঠিক পদক্ষেপ না। সরকারের উচিৎ উৎপাদন ও বিতরণ ব্যয় কমিয়ে আনা এবং অপচয় ও দুর্নীতির লাগাম টানা। ভোক্তার ওপর দামের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া জনকল্যাণকরা কোনও পদক্ষেপ হতে পারে না।
প্রশ্ন: আমরা দেখছি একদিকে পণ্যমূল্য উর্দ্ধগতিতে ছুটছে আরেকদিকে বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ জ্বালানির দামও দফায় দফায় বাড়ছে। কিন্তু সরকার ভোক্তাদের ক্ষমতায়ন না করে উল্টো জ্বালানির দাম নির্ধারণে ভোক্তার অংশগ্রহণের যে সুযোগ ছিল, সেটাও আইনের মাধ্যমে পাল্টে ফেলছে। কিন্তু জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়টি তো খাদ্যনিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত। বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?
গোলাম রহমান: ‘বিইআরসি’র জ্বালানি মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতিটি উত্তম একটি পদ্ধতি ছিল। কিন্তু এতে সময় লাগে। জ্বালানি মূল্য ও ভর্তুকি নিয়ন্ত্রণে রাখার দুটো পথ থাকে। একটা হলো— সরাসরি জ্বালানি মূল্য বাড়িয়ে দেওয়া, আরেকটা হলো- উৎপাদন ব্যয়, পরিবহন বা বিতরণ ব্যয় সংকুচিত করা। কিন্তু আমাদের এখানে সরাসরি দাম বাড়িয়ে দেওয়ার সহজ পথটিই অনুসরণ করা হচ্ছে, অর্থাৎ অতিরিক্ত দাম ভোক্তার ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, জ্বালানিখাতের বেশিরভাগটাই কিন্তু স্টেট মনোপলি। বিদ্যুৎ ও তেল, গ্যাস আর কেউ বিক্রি করতে পারে না। শুধু রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোই করে। অবশ্য এলপিজি গ্যাস কিছু বেসরকারি কোম্পানি বিক্রি করে, এটা ছোট একটা অংশ। সর্বশেষ যে আইনটি করা হয়েছে সেটা দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য করা হয়েছে। জ্বালানি মূল্য নির্ধারণে ভোক্তার অংশগ্রহণ সংকুচিত বিইআরসি-কে যেভাবে অকার্যকর করা হয়েছে এটা সঠিক পদক্ষেপ না। সরকারের উচিৎ উৎপাদন ও বিতরণ ব্যয় কমিয়ে আনা এবং অপচয় ও দুর্নীতির লাগাম টানা। ভোক্তার ওপর দামের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া জনকল্যাণকরা কোনও পদক্ষেপ হতে পারে না।
প্রশ্ন: ভোক্তাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থতার জবাবে ‘ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর’ আইনের সীমাবদ্ধতা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাটিতে পর্যাপ্ত জনবলের সংকটের কথা বলে থাকে। আইনানুযায়ী প্রতিটি জেলায় এর অধিদপ্তরের অফিস থাকার কথা। কিন্তু সব জেলায় অফিস নেই। এমনকি সব জেলায় একজন করে কর্মকর্তা নিয়োগও হয়নি। এক প্রতিদেবন বলছে, সংস্থাটিতে মঞ্জুরি করা ৩৬৬ পদের বিপরীতে সারা দেশে অর্ধেক পদই এখনও শূন্য। বিপুল জনসংখ্যার এই দেশে ভোক্তাদের সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে সংস্থাটিকে কার্যকর করার উপায় কী?
গোলাম রহমান: আইনটির কিছু সংশোধন প্রয়োজন থাকতে পারে। কিন্তু আমি বলব এখন যে আইনটি আছে সেটি খুবই জনবান্ধব একটা আইন। এই আইনটিও যদি পুরোপুরি প্রয়োগ করা যায় তাহলে দেশে ভোক্তাদের অধিকার সুরক্ষায় অনেক অগ্রগতি হতো। অধিদপ্তরের জনবল বৃদ্ধি করা, সারাদেশে কর্মপরিধি বিস্তৃত করার অবশ্যই প্রয়োজন আছে এবং সুযোগ আছে। আমি মনে করি উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে ছড়িয়ে দিতে পারলে তারা আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারবে।
প্রশ্ন: দেশে ভোক্তা-অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আপনি দু’এক কথায় আর কিছু বলবেন কি?
গোলাম রহমান: ভোক্তা-অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে বড় দায়িত্ব ভোক্তাদের নিজেদের। ভোক্তারা শুধু দুঃখ-কষ্ট সহ্য করে গেলে হবে না, ভোক্তাদের আরও প্রতিবাদী হতে হবে, সংগঠিত হতে হবে। কেবল তাহলেই হয়ত আমাদের কর্তপক্ষ আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন।
সৌজন্যে সকাল সন্ধ্যা।