ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কর্তৃক কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই তৈরি করছে সবজি ভিত্তিক প্রোবায়োটিক খাদ্য। যা কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অনলাইন এবং অফলাইনে দেদারছে বিক্রি করছে। অবশেষ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ধরা পড়ে এই অবৈধ ব্যবসা।
রোববার রাজধানীর পান্থপথে ‘কিমচি বাড়ি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তর। অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম, এবং শাহ আলম।
কিমচি বাড়ি নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পেইজ খুলে হোম ডেলিভারি করছে এসব অবৈধ পণ্য। বিভিন্ন নামে ৮টি পণ্য বাজারজাত করছেন কোনো অনুমোদন ছাড়াই।
পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে বীটরুট কিমচি, মাশরুম কিমচি, নাপা ক্যাবেজ কিমচি, রেডিশ কিমচি, মিক্স ভেজিটেবল কিমচি, কিউকুম্বার কিমচি, বকচয় কিমচি ও জার্মান রেসিপি বেইজড ফার্মেন্টেড প্রোবায়োটিক ক্যাবেজ সাওরক্রাওত।
পান্থপথের একটি ভবনের চারতলায় একটি চার রুমের ফ্ল্যাটে এসব অবৈধ পণ্য তৈরি করছেন। তিন জন কর্মচারী এসব সবজি ভিত্তিক ফার্মেন্টেড প্রোবায়োটিক পণ্য প্রক্রিয়াজাত করেন। সঙ্গে মূল মালিক এসব বিষয়ে সার্বিক নির্দেশনা দেন।
জানা গেছে, মালিক বলে দাবি করা ব্যক্তি বিভিন্ন সময় বিদেশে ছিলেন। সেখান থেকে এভাবে সবজি ভিত্তিক ফার্মেন্টেড প্রোবায়োটিক পণ্য তৈরি করা শিখেছেন। সেই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে এসব তৈরি করছেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এবং অধিক মেদ কমানোর জন্য এসব পণ্য ক্রয় করে বলে জানা গেছে।
অভিযানে দেখা যায়, বিভিন্ন সাইজের প্লাস্টিকের নোংরা বালতিতে বাহারি সবজি কেটে রাখা হয়েছে। বালতির মুখ খুলতে পঁচা দুর্গন্ধ বের হয়। প্রত্যেক বালতিতে সবজি পঁচার জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। এভাবে ৪দিন প্রক্রিয়াজাত করার পর বিভিন্ন মসলা মিশিয়ে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়।
ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করার সময় কোনো প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক টেস্ট করা ছাড়া নিজেদের ইচ্ছে মত মেয়াদ দিয়ে দিচ্ছে। যা আইন সম্মত নয় বলে জানায় ভোক্তা অধিকার।
পরে এসব অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং আগামীকাল (সোমবার) সকালে ভোক্তা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পরে একই এলাকার একটি ফার্মেসীতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে বিপুল পরিমাণ মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ এবং আমদানীকারক ছাড়া কসমেটিক্স পণ্য পাওয়ায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।