ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: পরিমাপে কারচুপি করে অসৎ উপায়ে অধিক লাভ করতে চাওয়া অসাধু পেট্রোল পাম্প ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রোববার (রোববার) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে পেট্রোল পাম্পে জ্বালানী তেলের পরিমাপ ও সরবরাহ বিষয়ে পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অসাধু পেট্রোল পাম্প ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘যারা অসাধু ব্যবসায়ী। অতি মুনাফার লোভে যারা তেল কম দেবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে।’
ভোক্তার ডিজি বলেন, ‘গত শুক্রবার (০৫ জুলাই) জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির আগে থেকে ভোক্তা অধিদপ্তর পেট্রোল পাম্পগুলোতে অভিযান পরিচালনা করছে। দাম বৃদ্ধির পর শনিবার আমরা পেট্রোল পাম্পগুলোতে বেশ কিছু অনিয়ম পেয়েছি। ১০ লিটারে এক লিটার তেল কম দেওয়ার প্রমাণও পেয়েছি। পেট্রোল পাম্পের মিটারগুলো টেম্পারিং হচ্ছে। এতে কারচুপি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘তেলের কোয়ালিটির প্রশ্নে এবং মিটারগুলো কিভাবে সিলগালা করে এটি রোধ করা যায়, এ জন্য আমরা জ্বালানি পরিদপ্তর এবং বিএসটিআই এর কাছে লিখিত ভাবে জানাবো। যাতে তেলের কোয়ালিটি এবং পরিমাপের বিষয়টি পরীক্ষা করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পেট্রোল পাম্পগুলোর বিরুদ্ধে নিয়মিত মনিটরিং করবো। বিশেষ করে যেসব পেট্রোল পাম্পের বিরুদ্ধে অনিয়ম পাব তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোরতম অবস্থানে যাব। এছাড়া আগামী সাত দিনের মধ্যে পেট্রোল পাম্পের ব্যবসা করার জন্য যেসব লাইসেন্স এবং ছাড়পত্র প্রয়োজন সেগুলো হালনাগাদ করতে কার্যক্রম শুরু করতে হবে।’
পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরাও এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বেধে দেওয়া নিয়ম-কানুন মেনে চলবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
রোববার সারাদেশে পেট্রোল পাম্পের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তর। এদিন ৪১টি পেট্রোল পাম্পে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অপরাধে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।