সাভারের অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশে অনুমোদনহীভাবে রং মিশিয়ে লাচ্ছা সেমাই তৈরির দুটি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় দুটি কারখানাকে মোট এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি ৪৮০ কেজি ভেজাল লাচ্ছা সেমাই পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী সাভারের অবৈধ ঘোষিত মধুমতি মডেল টাউনের ভিতরে অবস্থিত সিদ্দিক মিয়ার মালিকানাধীন আল মুসলিম লাচ্ছা সেমাই কারখানা ও বনগাঁও এলাকার নাছির ফ্রুট প্রোডাক্ট কারখানায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন প্রতি বছরই রোজার আগে আল মুসলিম লাচ্ছা সেমাই কারখানার মালিক অবৈধ ঘোষিত মধুমতি মডেল টাউনের ভিতরে প্লট ও বাড়ি ভাড়া নিয়ে ভেজাল সেমাই তৈরী করে থাকে। গত বছরও তার কারখানায় র্যাব অভিযান চালিয়েছে। অস্বাস্থ্যকর এবং নোংরা পরিবেশে তৈরী করা এসব সেমাই বালুর জন্য মুখে দেয়া যায়না। এগুলো খেয়ে অনেকেই অসুস্থ্য হয়েছে এবং চিকিৎসকের কাছে গিয়ে টাকা খোয়াতে হয়েছে। যারা এসব ভেজাল খাবার তৈরীকারীদের জায়গা ভাড়া দেয় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, বৃহস্পতিবার সাভারের দুটি লাচ্ছা সেমাই তৈরি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছি। প্রথমে মধুমতি মডেল টাউন এলাকায় আল মুসলিম লাচ্ছা সেমাই কারখানায় গিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে বনগাঁও এলাকার নাছির ফ্রুট প্রোডাক্ট কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। কর্তৃপক্ষের কাছে বিএসটিআইয়ের কোনো লাইসেন্স না থাকায় এবং কারখানাটি পুরোপুরি অবৈধ হওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে কারখানাটিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রং মিশিয়ে তৈরি করা ৪৮০ কেজি সেমাই পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
অভিযান চলাকালীন যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সাভার মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে সাভারের ঝাউচর, দোসাইদ, বিরুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় রোজার মধ্যে হরহামেসাই রং মিশিয়ে ভেজাল লাচ্ছা সেমাই তৈরী করা হচ্ছে। এসব সেমাই পরবর্তীতে সাভার নামাবাজার এলাকায় পাইকারী দোকানে বিক্রী করা হয়। তবে তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়নি স্থানীয় প্রশাসনকে।