কয়েক মাস থেকে দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নিত্যপণ্যের বাজার। চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ একের পর এক পণ্যের দাম বেড়েছে। এবার নতুন করে বেড়েছে আটা ও ময়দার দাম। এতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি-পেশার মানুষের। চাহিদার তুলনায় কম পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন কেউ কেউ।
কারওয়ান বাজারে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, এখন তো একটাই ইস্যু- জ্বালানি তেলের দাম বাড়তি। এটাকে পুঁজি করে সবজিসহ সব জিনিসের দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই কেজি আটার প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮২ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত। আর খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে সর্বোচ্চ ৩৮ টাকা। এই মানের আটার কেজিপ্রতি দর ছিল ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা।
ময়দার দামও বাড়তি। দুই কেজি ময়দার এক প্যাকেটের দাম এখন ১০৪ টাকা। সাত-আট দিন আগেও এই দর ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া গত সপ্তাহে ৪২ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হওয়া খোলা ময়দার কেজির দাম এখন ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে উৎপাদন ও পাইকারি পর্যায়ে পণ্যের দাম বেড়ে গেছে বলে দাবি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। একজন বিক্রয়কর্মী জানান, আটা-ময়দা, তেল চিনি এসব পণ্যের দাম আগে থেকেই বাড়তি। এখনও আগের মজুদ পণ্য বিক্রি করছেন তিনি। তবে ডিজেলের দাম বাড়ার পর নতুন করে যেসব পণ্য বাজারে আসবে, সেগুলোতে খরচ বেশি পড়বে। এতে সব পণ্যের দাম আরেক দফা বাড়বে বলে তার আশঙ্কা। বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্যের দাম আরও বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে গেছে বলে জানান কারওয়ান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, গত সপ্তাহে কয়েকটি কোম্পানি আটা-ময়দার দাম বাড়িয়েছে। আজ (গতকাল) তীরসহ কয়েকটির বিক্রয় প্রতিনিধিরা জানিয়ে গেছেন, সামনের সপ্তাহ থেকে আটা-ময়দার দাম কেজিতে তিন থেকে চার টাকা বাড়তে পারে।