খুলনায় চালের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী। প্রকারভেদে কেজিতে চালের দাম কমেছে এক থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত।
তবে খুচরা ও পাইকারি বাজারে খোলা ও বোতলজাত উভয় ধরনের সয়াবিন তেলের দাম দফায় দফায় বাড়ছে।
এদিকে তেলের দাম দফায় দফায় বাড়ায় ক্ষীপ্ত হয়ে উঠেছেন সাধারণ ক্রেতারা। তারা বলছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটি ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে উঠেছে। করোনা পরবর্তী মানুষ এমনিতেই ঠিকমতো চলতে পারছেন না। মাসে মাসে তেলের দাম বাড়ে। এতে বেকায়দায় পড়েছেন ক্রেতারা।
আব্দুল্লাহ নামে এক রিকশাচালক বলেন, কয়েক মাস আগে ৯৫ টাকা দরে যে সয়াবিন তেল কিনেছি তা এখন ১৭০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তেলের দাম এত বেড়েছে যে শুধু তেল কিনতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাজারের অন্যান্য জিনিসেরও দাম আকাশ ছোঁয়া। জানি না কীভাবে সংসার চলবে।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সকালে চালের দামে কিছুটা স্বস্তির খবর দিয়ে বড় বাজারের মুরাদ ট্রেডার্সের ম্যানেজার জিয়াউল হক মিলন বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম কেজিতে এক থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত কমে স্থিতিশীল রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে মিনিকেট ৫৮, ৬০ থেকে কমে ৫৬, ৫৮, বাসমতি ৬২, ৭০ থেকে কমে ৬০, ৬৮, আটাশ বালাম ৫০, ৫২ থেকে কমে ৪২, ৪৬, ৪৮, স্বর্ণা ৪২, ৪৩ থেকে কমে ৩৮, ৪১, ৪২, গাজী আতপ ৩৭ থেকে কমে ৩২, আটাশ আতপ ৪৬ থেকে কমে ৪৪, ভাইটাল ৬২ থেকে কমে ৬০, নাজিরশাইল ৬২, ৬৫ থেকে কমে ৬০, ৬৪, চিনিগুড়া ৯০ থেকে কমে ৮৫ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেল সপ্তাহের ব্যবধানে ১৪৭ টাকা থেকে বেড়ে ১৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তিনি জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও অপরিশোধিত পাম তেলের দাম বাড়ায় ফের দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে।
মহানগরের ময়লাপোতাস্থ সন্ধ্যা বাজারের সুমী স্টোরের মালিক কাউসার আলী হোসেন বলেন, সপ্তাহখানেক আগে সয়াবিন তেল লিটার ১৪৪ টাকায় কিনে বিক্রি করেছি ১৫২ টাকায়। এখন সেই তেলের দাম হয়েছে ১৬৯ টাকা। এছাড়া গত তিন দিন ধরে আলুর দাম কিছুটা বাড়ছে। যে আলু পাইকারিতে ১৮ টাকায় কিনেছি তা এখন ২০ টাকায় কিনে ২২ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়তি ছিল। তবে দু’দিন ধরে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। ভালো মানের দেশি যে পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা ছিল তা এখন ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চিনির দামও কিছুটা কমেছে। যে চিনি ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে তা এখন ৮০ টাকা।