ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ক্রয় রশিদ না থাকা, বিক্রয় মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন না করা, প্রদর্শীত মূল্যের থেকে বেশি মূল্যে বিক্রি করাসহ বিভিন্ন অপরাধে চারটি চালের প্রতিষ্ঠানকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
শনিবার সকালে রাজধানীর বাবুবাজার চালের আড়তে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তর। অভিযানের নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান, সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল।
যেসব আড়তকে জরিমানা করা হয়
রেজাউল এন্টার প্রাইজকে ৫ হাজার টাকা, মেসার্স আলিফ রাইস এজেন্সীকে ২০ হাজার টাকা, মেসার্স মদিনা রাইস এজেন্সীকে ১০ হাজার টাকা এবং মেসার্স তৃপ্তি ভাণ্ডারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
যা বলছেন ভোক্তা অধিদপ্তর
অভিযানের বিষয়ে আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, চালের মিল গেইটে দাম কমে গেলেও আড়তে দাম কমছে না। গত এক সপ্তাহ আগে ২৮ চাল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আজকে অভিযানে এসেও দেখলাম একই দাম। তার মানে মিল গেইটে দাম কমলেও আড়তে ব্যবসায়ীরা কমাচ্ছেন না।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটা দোকানে এবং আড়তে চালের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। তার পরেও দাম কেন বাড়ানো হচ্ছে? এ নিয়ে আমাদের প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেনি ব্যবসায়ীরা।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় মিল গেইটে ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযান চালাচ্ছে। সেখানে অনিয়ম পেলে সেখানেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে যুক্ত করেন তিনি।
চাল ব্যবসায়ীরা যা বলছেন
বাংলাদেশ রাইস মার্চেন্টস এসোসিয়েশন এর সহ সভাপতি কাওসার আলম খান বাবলু বলেন, আমরা মিল গেইট থেকে কম দামে চাল বিক্রি করছি। ভোক্তা অধিদপ্তর যে অভিযোগ করছে সেটি আমরা বিশ্বাস করি না। মিল গেইটে এখন যে দামে বিক্রি করছে তার থেকে বর্তমানে আমাদের দাম কম আছে। আমাদের চাল আগের কেনা থাকায় দাম কমে বিক্রি করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ধান উৎপাদন করতে হবে। ধান না থাকলে কিভাবে চাল উৎপাদন হবে। আর দাম কমবে কিভাবে? চাল আমদানি না হওয়া পর্যন্ত দাম কমবে না। চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আড়ৎদারদের কোনো ভূমিকা নেই বলেও দাবি করেন তিনি।