ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ভোগ্য পণ্য চিনি ও তেলের উৎপাদন, সরবরাহ এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ফ্যাক্টরিতে চিনি, তেলের প্রতিদিনের উৎপাদনের পরিমাণ, সরবরাহের পরিমাণ, পণ্যের মূল্য সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি ম্যানুয়াল থেকে অটোমেটেড সিস্টেমে প্রদানের জন্য সফটওয়্যার প্রস্তুত করতে উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে ‘ভোগ্য পণ্য চিনি ও তেলের উৎপাদন ও সরবরাহ সংক্রান্ত তথ্য শীর্ষক’ সফটওয়্যার প্রণয়ন সংক্রান্ত একটি মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকগণ, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের প্রতিনিধি, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিঃ, বসুন্ধরা গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, টিকে গ্রুপ এবং দেশবন্ধু গ্রুপ এর প্রতিনিধিবৃন্দ।
মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার স্বাগত বক্তব্যে ব্যবসায়ীদের আইন মেনে যৌক্তিক মূল্যে ব্যবসা পরিচালনা করার পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশীদার হয়ে সফটওয়্যারটির সফল বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করার কথা বলেন।
আলোচনায় বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি বলেন, ২০১১ সালের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশে ডেলিভারি অর্ডার (ডিও) প্রথা বাতিল করে এসও চালু করা হয়েছে। কিন্তু এখনো ডিও এর আদলেই এসও দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ফরম-গ তে মূল্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। এই সফটওয়্যার প্রস্তুতের মাধ্যমে এ সকল সমস্যার সমাধান হবে।
সভায় বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিঃ এর প্রতিনিধি বলেন, সফটওয়্যারের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ইতোমধ্যে Vat Management System(VMS) এ দেয়া হয়। তাই এই সফটওয়্যারেও সকল প্রতিষ্ঠানের তথ্য প্রদান সহজ হবে।
সভায় বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিঃ, বসুন্ধরা গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, টিকে গ্রুপ এবং দেশবন্ধু গ্রুপ এর প্রতিনিধিবৃন্দ এই বিষয়ে একমত হয়। সফটওয়্যারটি প্রণয়নের এই উদ্যোগটি ভাল ও প্রশংসনীয় এবং সফটওয়্যারটি প্রণয়নের ক্ষেত্রে অধিদপ্তরের সাথে একযোগে কাজ করতে সম্মত হন।
তারা আরও বলেন, ডাটাবেজের প্লাটফর্ম যেন আপগ্রেড হয়, সাপোর্ট সেন্টার যেন থাকে, তথ্যের নিরাপত্তা যেন নিশ্চিত করা হয় এবং সফটওয়্যারটি ইউজার ফ্রেন্ডলি যেন হয়।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে যে স্মার্ট বাংলাদেশের উদ্যোগ নিয়েছেন তারই অংশ হিসেবে এই সফটওয়্যারটি প্রস্তুতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আজকের সভাটি মূলত এই সফটওয়্যারটি তৈরির প্রথম ধাপ। এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে ভোগ্য পণ্য চিনি ও তেলের উৎপাদন, সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখা সহজ হবে কারণ ফ্যাক্টরিতে চিনি ও তেলের প্রতিদিনের উৎপাদনের পরিমাণ, সরবরাহের পরিমাণ, পণ্যের মূল্য সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি এই সফটওয়্যারে প্রদান করা হলে তা সকল বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের নিকট পাঠানো হবে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠুভাবে তদারকি করতে পারবেন এবং এই সেক্টরে শৃঙ্খলা বিধান নিশ্চিত করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, সফটওয়্যারটি প্রস্তুতের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণে সভা, সেমিনার ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সর্বোপরি সকলের সাথে আলোচনা করে এটি প্রস্তুত করা হবে যেন সফলতার সাথে বাস্তবায়ন করা যায়। এছাড়াও আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও সরবরাহ যেন স্বাভাবিক থাকে সে বিষয়ে সকলে সমন্বিতভাবে কাজ করবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।