ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: জনসন বেবি লোশন, জনসন বেবি ওয়েল, জনসন বেবি স্যাম্পু, ভেজলিন, ইমামী ওয়েলসহ বিভিন্ন নামীদামী ব্র্যান্ডের নকল প্রসাধনী কারখানায় অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তিন বস্তা প্রস্তুতকৃত নকল জনসন বেবি লোশন, নকল কৌটা এবং বিভিন্ন ক্যামিকেল জব্দ করা হলেও কারখানা মালিককে পাওয়া যায়নি। পরে জব্দকৃত পণ্য জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়।
গোপন সূত্রের ভিত্তিতে পাওয়া তথ্যে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বংশালের মকিম বাজার এলাকায় অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তর।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান ও সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল এবং সহকারী পরিচালক মো. মাগফুর রহমান ও তাহমিনা বেগম।
যেভাবে অভিযান করা হয়
মকিম বাজারের ৯৬/১ নম্বরের বাসার ছয় তলায় জনসনসহ বিভিন্ন নামীদামী কোম্পানির পণ্য নকল করে তৈরি করা হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে নামে ভোক্তা কর্মকর্তারা। পরে ওই বাসার ছয় তলায় যাবার পর দেখা যায়, রুমে তালা লাগানো। পাশের ফ্ল্যাট এবং মালিকের অবর্তমানে বাসার দায়িত্বে থাকা এক নারীর মাধ্যমে বাসা মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারলেও কারখানা মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, গত ০১ ডিসেম্বর দালালের মাধ্যমে এই বাসা ভাড়া নিয়ে অবৈধ ভাবে এসব নকল পণ্য তৈরি করছিল। পরে কারখানা মালিকের সন্ধান না পেয়ে উপস্থিত সকলের সামনে রুমের দরজায় লাগানো তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। অভিযানে ঘরে থাকা সকল মালামাল, নকল পণ্য তৈরি করার ক্যামিকেল, কৌটা এবং প্রস্তুতকৃত প্রসাধনী জব্দ করা হয়। পরে সেগুলো জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়।
জানা যায়, দুই রুমের এই ফ্ল্যাটে সন্ধ্যার পর থেকে গোপনে তৈরি করা হতো বিভিন্ন নামীদামী কোম্পানির প্রসাধনী।
অভিযানের বিষয়ে যা জানালো ভোক্তা অধিদপ্তর
অভিযানের বিষয়ে আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, নিয়মিত বাজার তদারকির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বংশাল এলাকায় একটি নকল কারখানায় অভিযান চালানো হয়েছে। এখানে জনসন ব্র্যান্ডসহ বিভিন্ন নামীদামী ব্র্যান্ডের নকল প্রসাধনী তৈরি করা হতো। আমরা এখান থেকে মালামাল জব্দ করে ধ্বংস করেছি। তবে কারখানার মালিককে ধরতে পারিনি। বাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে কয়েকবার আসতে বললে তিনি উপস্থিত হননি। আমরা এই কারখানার মালিক এবং এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ভোক্তা-অধিকার আইনে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।