ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: রাজধানীর ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে সালিক রুমাইয়া এতে নেতৃত্ব দেন।
অভিযানের শুরুতে যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে ‘আর এস ওয়াই ড্রিংকিং ওয়াটার নামক প্রতিষ্ঠানটি তাদের ট্রেড লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স, কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সনদ এবং পানি পরীক্ষার প্রয়োজনী কাগজপত্র প্রদর্শনে সক্ষম হয়। প্রতিষ্ঠানটির ভেতরের পরিবেশ বেশ ভালো পাওয়া যায় এবং নিরাপদ খাদ্য আইনবিরোধী কোন কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়নি।
এরপর ডেমরার মাতুয়াইল পাড়াডগারের ‘ইউনিটি এগ্রো এন্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ’ নামক আরও একটি পানির ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ট্রেড লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স, কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সনদ এবং পানি পরীক্ষার কোন প্রমাণ প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়। প্রতিষ্ঠানটির ভেতরের এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সকল অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
আমুলিয়া, স্টাফ কোয়ার্টার ডেমরা এলাকার ‘আলম’স রেস্তোরাঁ চাইনিজ এন্ড পার্টি সেন্টার’ এ অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানটির রেস্তোরাঁ নিবন্ধন সনদ, কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সনদ এবং পেস্ট-কন্ট্রোল প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়। রেস্টুরেন্টটির রান্নাঘরে অত্যন্ত নোংরা পরিবেশ এবং ফ্রিজে প্রচুর পরিমাণে লেবেলহীন খাদ্যপণ্য মজুদ দেখা যায়। এ সকল অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির
কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে সকল প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষণ ও ভোক্তাদের স্বাস্হ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেয়া হয়। এছাড়াও, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার প্রদান করা হয়।
অভিযানকালে নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মাহমুদুল হাছান আনচারী ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যবৃন্দের একটি চৌকস টিম উপস্থিত ছিলেন।