ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন ক্যান্টিন এবং দোকানে মঙ্গলবার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
সোমবার ঢাবির ব্যবসা শিক্ষা অনুষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সেমিনারে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।
‘ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন- ২০০৯’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে ভোক্তা অধিদপ্তর। ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান এ বি এম শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
আলোচনার একপর্যায়ে মার্কেটিং বিভাগের ২৬তম বর্ষের একাধিক শিক্ষার্থী মহাপরিচালকের নিকট অভিযোগ করে বলেন, ঢাবি হলের ক্যান্টিনগুলোতে বিক্রি করা রুটি-কেকে উৎপাদনের কোন মেয়াদ দেওয়া থাকে না৷ এছাড়াও ক্যান্টিনের খাবারের দাম বেশি নেওয়া, অস্বাস্থকর পরিবেশসহ একাধিক অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাবির সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ মধুর ক্যান্টিনেও খাদ্যের তালিকা নেই বলে জানান ঢাবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
তিনি বলেন, ‘সেদিন কয়েক জন নারী মধুর ক্যান্টিনে গিয়ে সিঙ্গারা, পুরি এবং মিষ্টি খাওয়ার পর তাদের কাছ থেকে অস্বাভাবিক দাম নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তারা (নারীরা) আমাদের কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন। যার কারণে মধুর ক্যান্টিনে ০৬ ডিসেম্বরের মধ্যে খাদ্যের তালিকা টানাতে বলা হয়েছে।’
এরপর মহাপরিচালক বলেন, ‘আপনারা যদি অনুমতি দেন, তাহলে আমরা মঙ্গলবার এখানে তদারকি পরিচালনা করতে চাই। যেহেতু এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গা, তাই এখানে আমরা সতর্ক করার জন্যই এই অভিযান চালাবো।’
সেমিনারে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহআলমসহ একাধিক কর্মকর্তা এবং মার্কেটিং বিভাগের একাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।