ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: আমের জুস, চকলেট, সরিষার তেল, সয়াবিন তেল, হারপিক, হ্যান্ডওয়াশসহ নয় প্রকারের নকল পণ্য তৈরি করছে কুয়াশা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) সহ সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন না নিয়েই নিজেদের ইচ্ছে মতো পণ্য উৎপাদন করে বাজারজাত করছিল প্রতিষ্ঠানটি।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর বাড্ডার বড় বেরাইদ এলাকায় ওই কারখানায় অভিযান চালায় বিএসটিআই। অনুমোদন না নিয়ে অবৈধ ভাবে পণ্য উৎপাদন করার অপরাধে কারখানার মালিককে আট লাখ টাকা এবং মোড়কজাত করার দায়ে আরও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিএসটিআইয়ের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিব সরকার জরিমানার এ আদেশ দেন।
বিএসটিআইয়ের উপ-পরিচালক রিয়াজুল হকের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।
কারখানার ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই শিশুখাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে- আমের জুস, চকলেট, সরিষার তেল, সয়াবিন তেল, হারপিক, হ্যান্ডওয়াশ, মশার কয়েল।
অভিযানের বিষয়ে রিয়াজুল হক জানান, কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই এসব পণ্য উৎপাদন করে আসছিল কারখানার মালিক। খবর পেয়ে আজ অভিযান চালানো হয়।
হাসিব সরকার জানান, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না থাকায় কারখানার মালিক মিলন মিয়াকে আট লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অবৈধ ভাবে মোড়কজাত করার দায়ে আরও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরে এসব পণ্য ধ্বংস করা হয়।
কারখানার মালিক মিলন মিয়া জানান, উৎপাদনের অনুমোদন চেয়ে বিএসটিআইয়ের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তবে এখনও অনুমোদন পাননি তিনি।
এর আগে বিএসটিআইয়ের একই টিম মহাখালীর কাঁচা বাজারে অভিযান চালায়। সেখানে একটি মুদি দোকানে বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন মুড়ির প্যাকেট পাওয়ায় প্রতীকি এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও, ফল ও মাছে ফরমালিন আছে কি না তা পরীক্ষা করে বিএসটিআইয়ের ভ্রাম্যমাণ ল্যাব টিম। পরীক্ষার পর কোনো ফরমালিন পাননি বলে জানান তারা।