ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: তেল, ডিম, ডালের পর এবার চিনির দাম নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন খেলা। হঠাৎ বাজার থেকে চিনি উধাও। দুই এক দোকানে চিনি মিললেও দাম আকাশ ছোয়া। সরকারি সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইচ্ছে মত দাম নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। অজুহাত কোম্পানিগুলো বাজারে চিনি সরবরাহ করছে না।
গত দেড় মাস ধরে সরবরাহ সংকটের অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর কেজিপ্রতি ছয় টাকা বাড়িয়ে চিনির দাম ৯০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। তবে এ দামে রাজধানীসহ দেশের কোথাও চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা।
মিলার এবং পাইকারী বিক্রেতাদের কারসাজিতে চিনির বাজার অস্থির বলছে ভোক্তা অধিদপ্তর।
চিনি নিয়ে ব্যবসায়ীদের কারসাজি থামাতে চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান/ মিল সহ সারাদেশের বিভিন্ন বাজারে একযোগে অভিযান চালাচ্ছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
শনিবার ঢাকাতেই অধিদপ্তরের ৩টি টিম তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করে।
রাজধানীর কাওরানবাজারে অভিযানের নেতৃত্ব দেন প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম এবং রজবী নাহার রজনী।
এ সময় বেশি দামে চিনি বিক্রি করা এবং পাকা রশিদ ছিড়ে ফেলার অপরাধে সিদ্দিক এন্টার প্রাইজকে ১০ হাজার টাকা এবং জামাল স্টোরকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানের বিষয়ে শরিফুল ইসলাম বলেন, কাওরানবাজারে খুচরা দোকানে খোলা চিনি নেই। দুই একটা দোকানে আছে। সেগুলোতে আমাদের দেখে হয়তো ৯০ টাকা কেজি বিক্রি করছে। আমরা চলে গেলে হয়তো বেশি দামে বিক্রি করে। চিনি না থাকার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিলার তাদের চিনি দিচ্ছে না। কাওরানবাজারের বড় ব্যবসীয়রা বলছেন, মিলগেট এবং মৌলভীবাজারের কোথাও গত ৫-৬দিন থেকে কোনো চিনি পাচ্ছে না। চিনি পেলেও সরকার নির্ধারিত দাম থেকে বেশি ১০২ টাকা পাইকারী নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মিলার এবং পাইকারী বিক্রেতারা কারসাজি করে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে চিনি সরবরাহ করছে না। যার কারণে চিনির বাজার অস্থির হয়ে গেছে।
রজবী নাহার রজনী বলেন, কাওরানবাজারের সিদ্দিক এন্টার প্রাইজের ক্রয় ভাউচার দেখাতে পারেনি। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিক্রয় ভাউচার ছিল কিন্তু ১লা অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ভাউচার নেই। অনেক ভাউচার ছেড়া। চিনির দাম বাড়ানোর জন্য তারাও জড়িত।