ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: মিষ্টির মধ্যে মশা মাছি, অননুমোদিত রং ব্যবহার, নোংরা ফ্রিজ, ফ্লোর অস্বাস্থ্যকর সহ বিভিন্ন অপরাধে বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারকে জরিমানা করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
রোববার মোহাম্মদপুরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মোঃ সজীব এর নেতৃত্বে কারখানায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানকালে দেখা যায়, ডাস্টবিন ওপেন রাখা, দধি, ডালডা, নিমকী, চিড়াভাজা মোড়কীকরণে লেভেলিং প্রবিধানমালা লঙ্ঘিত, প্রিমিসেস লাইসেন্স নেই, অননুমোদিত রং ব্যবহার করছে, নোংরা ফ্রিজ, মিষ্টির মধ্যে মশা মাছি পড়ে আছে, ফ্লোর অস্বাস্থ্যকর, কারখানায় আলো বাতাস প্রবাহের ব্যবস্থা নেই, ট্রেড লাইসেন্স নেই, ফায়ার লাইসেন্স নেই, কল কারখানা অধিদপ্তরের নিবন্ধন নেই, পরিবেশ ছাড়পত্র নেই, কর্মচারীদের কোন সেইফটি ইকুইপমেন্ট নেই, তেলাপোকার দৌরাত্ম, যেখানে সেখানে খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ পড়ে আছে, পঁচা ও বাসি মিষ্টি পাওয়া যায়।
এ সকল অপরাধে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডার কারখানা কর্তৃপক্ষকে তিন লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান অনাদায়ে দায়িত্বরত ম্যানেজারকে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
ম্যানেজার তার অপরাধ স্বীকারপূর্বক অর্থদণ্ড দিতে চান ও তাৎক্ষণিক তা আদায় করা হয়।
উল্লেখযোগ্য, বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারের পুরো ঢাকা শহরে ৪০ টি আউটলেট রয়েছে।
বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারের কারখানা কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মোড়কীকরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষন ও ভোক্তাদের স্বাস্হ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার প্রদান করা হয়।
বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারের কর্তৃপক্ষও নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন ও ঘাটতি কাগজ পত্র অতিসত্বর সংগ্রহ করবেন।
বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জানান, “খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সর্বদা কাজ করছে। আর এ ধরনের মোবাইল কোর্ট ও মনিটরিং কার্যক্রম সবসময় অব্যাহত থাকবে।”
এ ছাড়া তিনি খাদ্য ও খাদ্য স্থাপনা নিয়ে কারো কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা ৩৩৩ তে কল করে বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে জানাতে নাগরিকদের অনুরোধ করেন। বিশুদ্ধ ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি জানান, প্রত্যেক জেলায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিরাপদ খাদ্য অফিসার (এফএসও) এর নিকটও অভিযোগ করা যাবে।
অভিযানকালে বিএফএসএ এর ফুড ইনস্পেকটর মোঃ ছানোয়ার হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোঃ আবদুল খালেক মজুমদার, বিএফএসএ এর অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফ এবং ব্যাটেলিয়ান আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।