ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ঢাকার সাভারে দুটি ডিমের আড়ত ও একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল বগাবাড়ি বাজারে দুটি ডিমের আড়ত ও নরশিংহপুরের সরকার মার্কেট এলাকায় একটি দোকানে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে আসিফ ডিমের আড়তকে এক লাখ, এস জে অ্যাগ্রো আড়তকে এক লাখ ও ফয়সাল এন্টারপ্রাইজকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অতিরিক্ত দামে ডিম বিক্রি ও মজুত করে বাজারে সংকট সৃষ্টি, ক্রয়-বিক্রয় রশিদ না দেওয়া এবং মূল্যতালিকা না রাখাসহ বিভিন্ন অপরাধে তাদেরকে জরিমানা করা হয়। এসময় ফয়সাল এন্টারপ্রাইজ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ভোক্তা অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, ডিমের আড়তে গত ৭ আগস্ট ৯ টাকা ৪০ পয়সা দরে ডিম কেনা হয়। ডিমপ্রতি ২০ পয়সা লাভ করে ৯টা ৬০ পয়সা দরে বিক্রি করেন তারা। তবে ১৭ আগস্ট ৯টা ১০ পয়সা দরে ডিম কিনে আড়তে ১১ টাকা ৮০ পয়সা দরে বিক্রি করে আড়তদাররা। অর্থাৎ একটি ডিমে ২ টাকা ৭০ পয়সা লাভ করছিল। এটিকে অস্বাভাবিক বলছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া ফয়সাল এন্টারপ্রাইজ কাজী ফার্মে উৎপাদিত সব ডিম নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে নিলামের মাধ্যমে কিনে নেয়। বেশি মুনাফার লোভে ডিম কিনে ফায়সাল এন্টারপ্রাইজ বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। কিন্তু তার প্রতিষ্ঠান ডিম ক্রয়/বিক্রয়ের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এমনকি প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্স ৩০ জুন তারিখে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। এসব অপরাধে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফয়সাল এন্টারপ্রাইজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে রোববার (২০ আগস্ট) রোববার সকাল ১০টায় অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কেন তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল ও প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হাসানুজ্জামান।