ভিতরে কাস্টমার রেখেই রেস্টুরেন্ট বন্ধ, খুলে অভিযান চালালো ভোক্তা অধিদপ্তর

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: পাশের হোটেলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানের কথা শুনে রেস্টুরেন্টের ভিতরে কাস্টমার রেখেই সাটার বন্ধ করে পালাচ্ছিল মালিক। হাতেনাতে ধরে রেস্টুরেন্টের সাটার খুলে অভিযান চালালেন ভোক্তা কর্মকর্তারা।

রাজধানীর মালিবাগ এলাকায় বাবুর্চি রেস্টুরেন্টে এমন ঘটনা ঘটে।

অভিযানের নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান, সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল, প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হাসানুজ্জামান।

রেস্টুরেন্টের ভিতরে গিয়ে দেখা যায়, ২০-৩০ জন কাস্টমার দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন।

হঠাৎ রেস্টুরেন্ট বন্ধ করায় কোনো প্রতিবাদ করেন নি এমন প্রশ্নে উপস্থিত ক্রেতারা জানান, রেস্টুরেন্টের সাটার কেন বন্ধ করছেন, জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা বলেন, অভিযান চালাচ্ছে। খোলা রাখলে এসে ঝামেলা করবে, জরিমানা করবে। তাই অল্প সময়ের জন্য বন্ধ করছি। আমরা প্রতিবাদ করলেও শোনেনি।

বন্ধ করার কারণ হিসেবে রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার বলেন, অভিযানের ভয়ে বন্ধ করে দিয়েছি।

অভিযানে দেখা যায়, রান্না ঘর সম্পূর্ণ নোংরা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে খাবার। ফ্রিজে রান্না করা খাবার এবং কাঁচা পণ্য এক সঙ্গে রাখা হয়েছে। পুরাতন পানির বোতলে বোরহানি রাখা হয়েছে। দধির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বিক্রির জন্য সংরক্ষণে রাখা হয়েছে।

এসব অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া পাশের তাজমহল রেস্টুরেন্টেও অভিযান চালানো হয়। এখানেও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার রাখা এবং তৈরি করার পাশাপাশি ফ্রিজে রান্না করা খাবার এবং কাঁচা পণ্য এক সঙ্গে রাখা হয়েছে।

এসব অপরাধে এই প্রতিষ্ঠানকেও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানের বিষয়ে মো. হাসানুজ্জামান বলেন, বাবুর্চি রেস্টুরেন্ট নামের প্রতিষ্ঠানটি ভোক্তা অধিকারের মনিটরিং টিম দেখে ভিতরে কাস্টমার রেখেই সাটার বন্ধ করে দিয়েছে। সাটার খুলে আমরা ভিতরে কাস্টমারদের দেখতে পাই। অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় তাদের ভিতরে আটকে রেখে রেস্টুরেন্ট বাহির থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে দিয়েছে। তবে পরবর্তীতে এই প্রতিষ্ঠানে একই অপরাধ করলে জনস্বার্থে বন্ধ করে দিব।