নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারাদেশের বিভিন্ন বাজার তদারকিতে বিভিন্ন অপরাধে ১২৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৪০ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর, শেরপুর, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, জামালপুর, ফেনী, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, মেহেরপুর, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, রাজশাহী, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর-এ বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রোজিনা সুলতানা, মোঃ মাগফুর রহমান এবং ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল কর্তৃক মুগদা দক্ষিণ পাড়া, মালিবাগ চৌধুরী পাড়া ও ধানমন্ডি এলাকায় তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
বাজার তদারকিকালে পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ‘ভূঁইয়া ড্রাগ হাউজ’ কে পাঁচ হাজার টাকা, ‘ব্রেড এন্ড বিয়ার’ কে দশ হাজার জারিমানা করে। মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রির অপরাধে ‘ফয়সাল মেডিসিন কর্ণার’কে দশ হাজার টাকা, ‘হানিফ স্টোর’কে পাঁচ হাজার টাকা, ‘তামান্না ফার্মেসী’কে পাঁচ হাজার টাকা, ‘মেডিনোভা ফার্মেসী’কে ১০ হাজার টাকা, ‘নিলু ফার্মেসী’ কে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির অপরাধে ‘ইসলামিয়া হোটেল’কে দশ হাজার টাকা, ‘নিউ পাগল চাঁদ সুইট এন্ড রেস্টুরেন্ট’কে বিশ হাজার টাকা, ‘কাকলী ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরী’কে পঞ্চাশ হাজার টাকা , ‘মিনুস কিচেন’ কে বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘চিশ্তিয়া স্টোর’ কে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ৩৭ বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যকলাপ, ওজনে কারচুপি, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো এবং মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ১১৩টি প্রতিষ্ঠানকে চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার পাঁচশত টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি ও প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করার অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং ৩ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে এক হাজার দুইশত পঞ্চাশ টাকা প্রদান করা হয়।
গত ৯ নভেম্বর সর্বমোট ৪০টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা ও ৩টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১২৮টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ছয় লক্ষ সত্তর হাজার পাঁচশত টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, স্বাস্থ্য বিভাগ, কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ, কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সহ সংশ্লিষ্ট শিল্প বণিক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ অধিদপ্তর পরিচালিত বাজার অভিযানে সহযোগিতা প্রদান করেন। বাজার অভিযান/তদারকিকালে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভোক্তা এবং ব্যবসায়ীবৃন্দের মধ্যে লিফলেট, প্যাম্ফলেট বিতরণসহ হ্যান্ডমাইকে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়।
এছাড়াও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিট্রেটগণ ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ নিশ্চিতকরণসহ স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।
আরইউ