ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, অবৈধ রাসায়নিক দ্রব্য, নকল বৈদ্যুতিক তার এবং প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, মজুত ও বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, কেরাণীগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স (র্যাব)। এ সময় ৯ প্রতিষ্ঠানকে ২৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) মোহা. ফরিদ উদ্দিন জানান, সোমবার (১০ অক্টোবর) বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালিত হয়।
র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ও র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে একটি দল ঢাকার এসব এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এ সময় বিএসটিআইয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত এসব এলাকায় মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, অবৈধ রাসায়ানিক দ্রব্য, নকল বৈদ্যুতিক তার ও প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, মজুত ও বিক্রি করার অপরাধে যাত্রাবাড়ীর শাওন কনজিউমার প্রডাক্টসকে নগদ চার লাখ টাকা, আহাদ কনজিউমার প্রডাক্টসকে এক লাখ, আলিফ কনজিউমার প্রডাক্টসকে ২৫ হাজার, আসাদ কনজিউমার প্রডাক্টসকে এক লাখ, সিল্কা সিলিং ফ্যানকে ৫০ হাজার, ওয়াইকন সিলিং ফ্যান পাঁচ লাখ, ডেমরার ডাইনামিক কনজিউমার অ্যান্ড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিসকে পাঁচ লাখ, কেরানীগঞ্জের আজাদ কনজিউমার প্রডাক্টসকে ৫০ হাজার, এ এল সুপার ওর্য়াসকে ১০ লাখ ও যাত্রাবাড়ীর এক ব্যবসায়ী লাইলি মিয়াকে পাঁচ হাজারসহ মোট ২৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৫০ হাজার টাকা মূল্যের মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, অবৈধ রাসায়নিক দ্রব্য, নকল বৈদ্যুতিক তার ও প্রসাধনী সামগ্রী জব্দ করে।