ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: রমজানকে কেন্দ্র করে খেজুরে ব্যবসায়ীরা কেজি প্রতি ২০-৫০ টাকা দাম বাড়িয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। সেই বাড়তি দামে রাজধানীর বাজার ও অলিগলির দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে খেজুর। সর্বনিম্ন ২০০ থেকে ২ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে কেনা-বেচা হচ্ছে। খেজুরের দাম বাড়ায় ক্রেতার পাশাপাশি খুচরা বিক্রেতারাও নাখোশ।
রোববার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম, পল্টন এবং মতিঝিল এলাকায় দেখা গেছে, সবচে নিম্নমানের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। এর চেয়ে একটু ভালোমানের বড়ই খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজিতে। তার চেয়ে ভালো খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজিতে।
মামরুন ও কালমির পাশাপাশি মরিয়ম, আজোয়া খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৬৫০ টাকা পর্যন্ত। তবে ভালমানের আজোয়া খেজুর ৭০০ থেকে এক হাজার টাকা ও মেরজুন খেজুর ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব বলছে, গত সপ্তাহে সাধারণ মানের খেজুর বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। আর এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারি বাজারে নাগাল খেজুরের ১০ কেজির একটি কার্টন বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৪৫০ টাকায়। আর খালাস খেজুর বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ২৫০ টাকায়।
পাঁচ কেজির কিমি খেজুর বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ৫৫০ টাকায়। দশ কেজি দাবাস খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং দশ কেজির জিহাদি খেজুর ১ হাজার ৩০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।