ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: রাতে যে সবজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা সেই সবজিই সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। প্রান্তিক চাষিরা নয় মধ্যস্তভোগীদের পকেটে ঢুকছে বাড়তি টাকা। আর ভুক্তভোগী হচ্ছেন ভোক্তারা।
সোমবার দিবাগত রাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সবজির আড়তে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এমন তথ্য পেয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সোমবার রাত ১১টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কারওয়ান বাজারে অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস, সহকারী পরিচালক মো. হাসানুজ্জামান, মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল ও মো. শরিফুল ইসলাম।
অভিযানকালে দেখা যায়, মোকামে প্রতি কেজি শশা ৩২ টাকা এবং কারওয়ান বাজারে ৪০/৪৫ টাকা, বেগুন ৩৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫/৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ মোকামে ৩০ টাকা এবং কারওয়ান বাজারে ৪০ টাকা, করলা মোকামে ৩৩ টাকা এবং আড়তে ৪৫ টাকা, পটল মোকামে ১৫ টাকা এবং রাতের বাজারে ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
আড়ত থেকে পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ে ৩০/৩৫ টাকার সবজি ৭৫/৮০ টাকায় বিক্রি করা হয় বলে জানিয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর।
অভিযানে বিক্রয় এবং ক্রয় রশিদ না থাকা, বিক্রয় মূল্যের তালিকা না থাকায় ভান্ডারি আড়ৎকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া, কারওয়ান বাজার ঘুরে কোন সবজির আড়তেই ক্রয়-বিক্রয় রশিদ পাওয়া যায়নি। সকলেই নিজেদের ইচ্ছে মতো ব্যবসা করছেন। আইনের কোন তোয়াক্কা না করে নিজেদের মতো করে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। চাহিদা এবং যোগানের উপর সবজির দাম নির্ধারণ করেন ব্যবসায়ীরা।
অভিযানের একপর্যায়ে ছুটে আসেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘এখানে প্রান্তিক কৃষকরা যেমন উৎপাদন খরচ পান না অপরদিকে ভোক্তারা উচ্চমূল্যে সবজি ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছেন। মাঝখানে ২/৩ হাত বদলের ফলে মধ্যস্বত্ত্বভোগীরাই প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ অনৈতিক মুনাফা করছে।’
বাজার ব্যবস্থাপনা এবং বিপণনে নিয়ন্ত্রণ আনতে ব্যবসায়ীসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে তিনি উদাত্ত্ব আহ্বান জানান।
এ সময় দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।