নিজস্ব প্রতিবেদক: বাহ্যিক দিক ফিটফাট কিন্তু ভিতরের অবস্থা সদরঘাট। হোটেলের সামনের পরিবেশ পরিপাটি থাকলেও ভিতরে কি ভয়ংকর অবস্থা অপেক্ষা করছে তা আগে থেকে কল্পনাতেও আসবে না ক্রেতাদের। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে রান্না করা খাবার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ক্রেতাদের মাঝে পরিবেশন করা হচ্ছে। নিয়মিত এমন কার্যক্রম চললেও অবশেষ ধরা খেলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের হাতে।
সোমবার নিয়মিত তদরকির অংশ হিসেবে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে সালিক রুমাইয়া এর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এলাকার “রাজ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে দেখা যায়, বেশ কিছু পণ্যে আমদানিকারকের প্রমাণক নেই, ফ্রিজে প্রচুর লেবেলবিহীন খাদ্য পন্য মজুদ করতে দেখা যায় এবং রান্নাঘর অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় পাওয়া যায়। যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটে আছে খাবার। রান্না ঘরে সব খাবারও খোলা অবস্থায় রাখা হয়েছে। সেঁতসেতে আর ময়লায় পরিপূর্ণ রান্না ঘরে তৈরি করা হচ্ছে খাবার।
এ সকল অপরাধে “রাজ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট” কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী তিন লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান অনাদায়ে জেনারেল ম্যানেজারকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
“রাজ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট” কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মোড়কীকরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষন ও ভোক্তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার প্রদান করা হয়।
“রাজ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট” কর্তৃপক্ষও নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন।