ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: চিনির দাম বৃদ্ধি এবং সয়াবিন তেলের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে চিনির দাম প্রতি কেজিতে ৬ টাকা বাড়তি দরে বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে। কিন্তু সয়াবিন তেলের দাম কমানোর ঘোষণার ছয় দিন পার হয়ে গেলেও বাজারে নতুন দরের বোতলজাত তেলের সরবরাহ বাড়েনি।
দু-একটি কোম্পানি ছাড়া বেশিরভাগ কোম্পানির তেলের দেখা মেলেনি। তবে দু-একদিনের মধ্যেই বাজারে সব কোম্পানির তেলের সরবরাহ বাড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আগের বাড়তি দরের তেল নতুন দরে বিক্রি করছেন বলে কেউ কেউ দাবি করছেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার, তেজকুনিপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৬ অক্টোবর বিকেলে চিনির দর কেজিতে ৬ টাকা বাড়িয়ে এবং পাম অয়েলের দাম লিটারে ৮ টাকা কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। ওইদিন সন্ধ্যায় ঢাকার বেশ কয়েকটি বাজারে দেখা গেছে, সরকার নির্ধারিত দামে খোলা চিনি ৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ৯৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। অথচ এর তিন দিন আগে অর্থাৎ ৩ অক্টোবর নতুন দর বোতলজাত সয়াবিনের লিটার ১৭৮, পাঁচ লিটারের বোতল ৮৮০ এবং খোলা সয়াবিন তেলের লিটার ১৫৮ টাকা নির্ধারণ করে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণনকারী কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছেও এ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে সংগঠনটি। কিন্তু নতুন দর পুরোপুরি কার্যকর হতে দেখা যায়নি বাজারে। তীর ব্র্যান্ডের নতুন দরের তেল কিছু জায়গায় দেখা গেছে। অন্যান্য কোম্পানির নতুন দরের তেল দেখা যায়নি।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, সব কোম্পানির নতুন কম দরের বোতলজাত তেল এসে পৌঁছেনি। তবে চাহিদাপত্র নিয়ে গেছেন কোম্পানির প্রতিনিধিরা। দু-একদিনের মধ্যেই নতুন দরের তেল চলে আসতে পারে। তেজকুনিপাড়া এলাকার মাঈন উদ্দিন ট্রেডার্সের একজন বিক্রয়কর্মী জানান, তীর ব্র্যান্ডের কিছু তেল পেয়েছেন তিনি। তবে অন্যান্য ব্র্যান্ডের তেল এখনও পাননি। দু-একদিনের মধ্যে পেতে পারেন বলে তাঁকে অন্যান্য কোম্পানির ডিলাররা জানিয়েছেন। মহাখালী কাঁচাবাজারের মাসুমা স্টোরের বিক্রয়কর্মী আল-আমীন জানান, নতুন দরের তেল পাননি তিনি। তবে তিনি যে দু-তিনটি কোম্পানির তেল বিক্রি করেন, তারা আগের বাড়তি দরের তেল নতুন দরেই দিচ্ছে। তাই নতুন দরে বিক্রি করছেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভোজ্যতেল পরিশধোনকারী ও বিপণনকারী একটি প্রতিষ্ঠানের এক শীর্ষ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, পরিশোধনের পর নতুন দরের তেল ডিলার হয়ে খুচরা ব্যবসায়ীদের হাতে যেতে কিছুটা সময় লাগবে। যেহেতু দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা বাস্তবায়ন হবেই। দু-একদিনের মধ্যেই নতুন দরের বোতলজাত তেলের সরবরাহ বেড়ে যাবে।