নওগাঁর পাইকারি আড়তে সরবরাহ কমায় বেড়েছে মাছের দাম। প্রকারভেদে কেজিপ্রতি মাছ ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে কমেছে সিলভার কার্প ও পাঙাশজাতীয় মাছের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুকুর-জলাশয়ে নতুন করে মাছের প্রজনন চলায় সরবরাহ কমেছে।
নওগাঁর সান্তাহার বাইপাস সড়কের ওপর এ আড়তগুলোতে চলছে মাছ বেচাকেনা। ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে ভোর থেকেই বাজারটি সরগরম হয়ে উঠে প্রতিদিন।তবে এলাকার পুকুর-জলাশয়গুলো থেকে পর্যাপ্ত মাছ ধরতে না পারায় আড়তগুলোতে সরবরাহ কমেছে। তাই দাম কিছুটা বেশি। প্রকারভেদে বিভিন্ন মাছ কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে গেছে। অবশ্য সিলভার কার্প ও পাঙ্গাশের সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কম।নওগাঁর পাইকারি আড়তে মাছের দর:
রুই ২০০ টাকা, কাতল ১৯০ টাকা, মৃগেল ১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ১২০ টাকা, বিগহেড ১৪০ টাকা, পাঙাশ ১১০ টাকা, শিং ও মাগুর ৩০০ টাকা, চাষ করা কৈ ১৩৫ টাকা, টাকি ১২০ টাকা, টেংরা ৩৫০ টাকা।
এদিকে, আড়তগুলোতে বেচাকেনা জমজমাট হলেও করোনার এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মানার নেই কোনো বালাই। উদাসীন আড়ত মালিকরাও।সান্তাহার আড়ত কমিটির সহসভাপতি মো. জিয়াউল হক বলেন, কেউ শুনছেন আবার কেউ আমাদের কথা শুনছেন না। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলা হচ্ছে। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা হয় এ আড়তগুলোতে।